৩০ মিনিটের ভাঙনে নদীতে বিলীন ১২ টি বসতভিটা

পদ্মার ভাঙন

মানিকগঞ্জের হরিরামপুরে শুরু হয়েছে সর্বনাশা পদ্মা নদীর ভাঙন। গতকাল রাতে ৩০ মিনিটের ভাঙনে নদীতে বিলীন হয়ে গেছে ১২টি বসতভিটাসহ বেশকিছু ফসলি জমি। ভাঙনের ঝুকিতে রয়েছে স্কুলসহ অর্ধশতাধিক বাড়িঘর।

জানা গেছে, ধূলসড়া ইউনিয়নের আবিধারা ও ইসলামপুর  এলাকায়  ভাঙনে নি:স্ব হয়ে গেছে ১২ টি পরিবার। পদ্মায় বিলীনের মুখে রয়েছে ৪৬ নং চর মকুন্দিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। পানি উন্নয়ন বোর্ড ইতিমধ্যে ভাঙন রোধে কাজ শুরু করেছে।

ইসলামপুর গ্রামের গৃহবধূ ময়না বেগম বলেন, আধাঘন্টার ভাঙনে তার অনেক ক্ষতি হয়েছে। পদ্মা নদী গিলে খেয়েছে তার বাড়িঘর। তার ঘরে ছিল প্রায় ৬০মণ ধান, তিল, সরিষা ও ভু্ট্টা।

আবিধারা গ্রামের হারুন মিয়া জানান, আবিধারা ও ইসলামপুর গ্রামের লিটনের ঘর, বাদলের ঘড় ৩ টা, রফিজ, কালামের বাড়ি, সেকেন্দার দোকান, শাহিনের বাড়ি, আফজাল বিশ্বাস, সিদ্দিক মেম্বারের বাড়ি বিলীন হয়ে গেছে।   ১২ টি বাড়ির ঘর ও ধান, ভুট্টা, তিল পদ্মায় পড়ে গেছে।

মোহনপুর  এলাকার সাগর বলেন,  স্থায়ী বেরি বাঁধ না হলেযা আছে সব শ্যাষ হইব।

গৃহবধূ সালমা আক্তার বলেন, রাইতে ভূমিকম্পের মতো সব শ্যাষ হইয়া গেছে। আমরা যাব কই।

মো. মিলন জানান, আমার শশুর বাড়ির একটা ঘর গেছে।

কাঞ্চন বেপারি বলেন – আধা ঘন্টায় আমগো সব শ্যাষ হইয়া গেছে। আমরা স্বপ্নেও ভাবিনি, আমগো এমন দশা হইবো।

ধূলশুড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জাহেদ খান বলেন, আমার কাছে মনে হয়েছে ভূমিকম্প হচ্ছে। ৩০-৪০ মিনিটে ১২ টা বাড়ি শেষ। স্কুল যেকোন সময় শেষ হয়ে যাবে। গতকাল চোখের সামনে বাড়ি গুলো শেষ হতে দেখছি। সারা রাত পদ্মার পাড় ছিলাম।

হরিরামপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ( ভারপ্রাপ্ত)  তাপসী রাবেয়া বলেন, ভাঙন এলাকা পরিদর্শন করা হয়েছে। ইতিমধ্যে পানি উন্নয়ন বিভাগ ভাঙন রোধে কাজ শুরু করেছে।

মানিকগঞ্জ পানি উন্নয়ন বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী  মো. মাঈন উদ্দীন বলেন, এলাকায় পানি উন্নয়ন বিভাগ থেকে আপদকালীন সময়ে ১২০০ মিটার কাজ চলছে। হঠাৎ করেই গতরাতে কয়েকটি বাড়ি বিলীন হয়ে গেছে। জিও ব্যাগের পাশাপাশি, জিও টিউব ও ডাম্পিং শুরু করেছি। আশা করি ভাঙন রোধ হবে।

সবখবর/ নিউজ ডেস্ক

নিউজটি শেয়ার করুন
Scroll to Top