ডা: কাজী একেএম রাসেল: ডেঙ্গু থেকে বাচতে এডিস মশার কামড় থেকে বাচতে হবে।এ ব্যপারে আপনার যা যা করণীয় তাই করুন। শিশু বৃদ্ধ গর্ভবতী আর দ্বিতীয়বার যারা আক্রান্ত হবেন তাদের জন্য ডেঙ্গু ভয়াবহই হবে বলা যায়।
মশারিটা কে টানাবেন? স্বামী স্ত্রী এইবার সংলাপের অপেক্ষায় না গিয়ে ঐক্যবদ্ধ হোন। এটি টানাতেই হবে।
জলাবদ্ধতা জমাটবদ্ধতা দূর করুন। কর্পোরেশন আর পৌরসভা কখনোই বসে নেই। তাদের ওপর দায়িত্ব দিয়ে আপনি মশারি না টানিয়ে বেলকুনিতে ফুলের টবে পানি রেখে ঘুমিয়ে যাবেন, ব্যাপারটা তা নয়।
ডেঙ্গু কভিড তাদের সময়মত আসবে যাবে।শুধু আমাদের সচেতন হবার সময় হয় ঠেকতে ঠেকতে।
আরো পড়ুন: একজন রাব্বি হোক হাজারো রাব্বির অনুপ্রেরণা
মাদারীপুরের শিবচরের একটি প্রাথমিক বিদ্যালয় কোমলমতি শিশুদের ডেঙ্গু থেকে বাচাতে অনেক দিন আগে খবরে এসেছিল জানালায় মশারি লাগিয়েছে।তাদের এই সৃজনশীলতা চেষ্টা আর বাস্তবায়ন কে সাধুবাদ জানাই।কারো সাহায্যের ধার তারা ধারেনি,কারো বিদ্রুপের ধার ও তারা ধারেনি;নিজ উদ্ভাবিত পদ্ধতি নিয়ে এগিয়ে গেছে,তাদের পুরষ্কৃত করা উচিৎ।
দেশের প্রতিটি প্রাথমিক বিদ্যালয় এবং অন্যান্য সকল প্রতিষ্ঠান যদি এই দৃষ্টান্ত অনুসরণ করে। দোষ নেই..
আরো পড়ুন: চতুর্থ শিল্প বিপ্লব মোকাবেলায় কারিগরি শিক্ষার গুরুত্ব
সৃজনশীলরা শুধু গান বাদ্য বাজানো আর কবিতা লিখেনা, নতুন নতুন উদ্ভাবনী অনেক কিছুই করে দেখাতে পারে, দরকার সুযোগ আর সহযোগিতা।
আপনার একেকটি সৃজনশীলতা যদি জাতিকে বাচায়, দোষ নেই। কেউ সাহায্য না করলে নিজ উদ্ভাবিত পন্থায় একাই এগিয়ে যান।
দাগ থেকে যদি নতুন কিছু হয়,রাগ থেকে নতুন কিছু হলেও দোষ কী?
নিজে বাঁচুন, অন্যকে বাচান।
লেখক: আবাসিক মেডিকেল অফিসার, ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতাল, মানিকগঞ্জ।