মানিকগঞ্জের সিংগাইর প্রেসক্লাবের প্রতিষ্ঠাতা, সাবেক সাধারণ সম্পাদক, দৈনিক ভোরের কাগজ প্রতিনিধি ও দৈনিক ফুলকি পত্রিকার স্টাফ রিপোর্টার মাসুম বাদশাহর ওপর সন্ত্রাসী হামলার ঘটনায় থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।
বুধবার (১৬ এপ্রিল) রাতে আহত সাংবাদিক বাদী হয়ে ৫ জনের নাম উল্লেখসহ ৮-১০ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেছেন। বৃহস্পতিবার দুপুরে সিংগাইর থানার ওসি জে ও এম তৌফিক আজম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
মামলার আসামীরা হলেন, উপজেলার ধল্লা মধ্যপাড়া গ্রামের মৃত নিজাম উদ্দিনের ছেলে আব্দুস সালাম ওরফে ইয়াবা সালাম (৫৩), ধল্লা লক্ষ্মীপুর গ্রামের মৃত গিয়াস উদ্দিন গাদুর পুত্র হুমায়ুন ওরফে ইয়াবা হুমায়ুন (৪০), তুফান আলীর ছেলে আনোয়ার হোসেন (৪০), কাউছারের ছেলে জিসান (২২) ও জোনাব আলীর ছেলে ওয়াজ উদ্দিনসহ (৪৫) অজ্ঞাত ৮-১০ জন।
মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, মঙ্গলবার (১৫ এপ্রিল) সকাল পৌণে ১০ টার দিকে সিংগাইর উপজেলার ধল্লা বাজারস্থ তার ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান ‘ধল্লা পল্লী উন্নয়ন ও সমাজ কল্যাণ সংস্থা’র অফিসে হামলা চালায় সন্ত্রাসীরা। এই হামলার নেতৃত্ব দেন আব্দুস সালাম (ইয়াবা সালাম)। হামলার সময় ইয়াবা হুমায়ুনের হাতে থাকা রড দিয়ে আঘাতে সাংবাদিক মাসুম বাদশার বাম হাত ভেঙে যায়। এরপর আনোয়ার দা দিয়ে মাথা লক্ষ্য করে কোপ দেয়, যা তার ডান হাতে আঘাত হানে। ইয়াবা সালামের হাতে থাকা ধারালো দা দিয়ে কোপ মারলে কোপটি তার পিঠে লাগে, ফলে তিনি গুরুতর জখম হন। হামলাকারীরা তার ব্যবহৃত মোটরসাইকেল ভাঙচুর করে ৩৫ হাজার টাকা ক্ষতি সাধনসহ তার হাতে থাকা সিকো ফাইভ ঘড়িটি ছিনিয়ে নেয়।
এব্যাপারে আহত সাংবাদিক মাসুম বাদশা বলেন, হামলাকারীরা এলাকায় মাদকসহ বিভিন্ন অপরাধে জড়িত। তাদের কয়েকজনের বিরুদ্ধে ইতিপূর্বে সংবাদ প্রকাশ করা হয়েছে। এর মধ্যে সেকেন্ড ইন কমান্ড ইয়াবা হুমায়ুনের ভাই ও বোনের অনিয়ম ও দুর্নীতির সংবাদ দৈনিক ভোরের কাগজ ও দৈনিক ফুলকি পত্রিকায় একাধিকবার প্রকাশিত হয়েছে। এরই জের ধরে তারা হামলা ও হত্যার পরিকল্পনা করে। হামলার পর তারা বিএনপির রাজনীতিতে যোগ দেয় এবং চাঁদা দাবিও করে। চাঁদা না দেয়ার কারণে তারা আমাকে হত্যার উদ্দেশ্যে এই হামলা চালায়। তিনি আরও বলেন, বর্তমানে তিনি আসামিদের ভয়ে নিরাপত্তাহীনতায় রয়েছেন।
এদিকে, সিংগাইর প্রেসক্লাবের এক জরুরি সভায় এই সন্ত্রাসী হামলার ঘটনায় নিন্দা প্রস্তাব গ্রহণ করে হামলাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানানো হয়। এ ছাড়া সিংগাইর ও মানিকগঞ্জের সাংবাদিক সমাজসহ বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন এ ঘটনার নিন্দা জানিয়ে দোষীদের শাস্তির জোর দাবি জানিয়েছেন।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই পার্থ শেখর ঘোষ জানান, আসামীদের গ্রেপ্তারে জোর চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।
সবখবর/ নিউজ ডেস্ক