ছেলেকে বিষপান করিয়ে হত্যার ঘটনায় ঘাতক মা ডা: মিতা সরকারসহ জড়িত অন্যান্য আসামীদের ফাঁসির দাবীতে মানিকগঞ্জে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
রবিবার সকাল ১০টার দিকে পৌরসভার গঙ্গাধরপট্টি এলাকায় শাহিন প্রি-ক্যাডেট স্কুল এন্ড কলেজের সামনে এই মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
ঘন্টাব্যাপী এই মানববন্ধনে নিহত রনজয় মন্ডল রুশুর সহপাঠি, শিক্ষক-শিক্ষিকা ও রুশুর স্বজনরা অংশ নেয়। রুশু ওই স্কুলের শিশু শ্রেণীর শিক্ষার্থী ছিল। মানববন্ধন থেকে সকলেই এঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়ে দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবী জানান।
মায়ের হাতে বিষপানে নিহত রুশু শহরের গঙ্গাধরপট্টি এলাকার ডা: রঞ্জন কুমার মন্ডলের ছেলে। গত এক বছর আগে বাবা রঞ্জন ও মা মিতা সরকারের বিবাহ বিচ্ছেদের পর থেকে রুশু তার মায়ের সাথেই থাকতো। গত ২৯ সেপ্টেম্বর রাতে ডা: মিতা সরকার রুশুকে বিষপান করিয়ে নিজেও বিষপান করে। পরে জেলা সদর হাসপাতালে রুশুর মৃত্যু হয়। বর্তমানে মিতা সরকার ঢাকার একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
রুশুর বাবা রঞ্জন তার সাবেক স্ত্রী টাঙ্গাইলের মির্জাপুর থানার ভাতগ্রামের নারায়ন চন্দ্র সরকারের মেয়ে ডা: মিতা সরকার, তার মা সীমা সরকার, বাবা নারায়ন সরকার, মিতার কথিত স্বামী এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ডা: অর্ঘ্য সরকার, মানিকগঞ্জ ট্রমা জেনারেল হাসপাতালের ওটি বয় সুমন মিয়াকে আসামী করে সদর থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন।
ডা: রঞ্জন বলেন, ৮ বছর আগে পারিবারিকভাবে মিতার সাথে তার বিয়ে হয়। বিয়ের পরে রুশুর জন্ম হয়। বনিবনা না হওয়ায় মিতার সাথে বছর খানেক আগে তার বিচ্ছেদ হয়। বিচ্ছেদের পর থেকে রুশু তার মায়ের কাছে থাকতো। বিচ্ছেদের পর মিতা পরকীয়ায় জড়িয়ে ডা: অর্ঘ্যর সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়। অর্ঘ্যের পরিবার রুশুকে মেনো না নেওয়ায় মিতা পরিকল্পিতভাবে তার সন্তানকে বিষপান করিয়ে হত্যা করে। পরে মিতা নিজেও বিষপান করে নাটক সাজায়। ঘটনার দিন মিতার বাসার কাজের মেয়ে বিষয়টি তাদেরকে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে জানায়।
এব্যাপারে সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আব্দুর রউফ সরকার জানান, মামলার প্রধান আসামী ডা: মিতা সরকার বর্তমানে পুলিশ প্রহরায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আছে। পুরো বিষয়টি নিয়ে পুলিশ কাজ করছে। তদন্ত শেষে এঘটনায় কারো সম্পৃক্ততা থাকলে তাদেরকে আইনের আওতায় আনা হবে।
সবখবর/ নিউজ ডেস্ক