পাপের শহর ‘লাস ভেগাস’

লাস ভেগাস

মদ, জুয়া, ক্যাসিনো, নারী সব পাওয়া যাবে, সেই জায়গাটির নাম লাভ ভেগাস। এত সব আয়োজনের কারণেই লাস ভেগাসকে বলা হয় ‘পাপের শহর’।

১৯০৫ সালে যুক্তরাষ্ট্রের মহাবী মরুভূমিতে গড়ে উঠে এই শহর। ১৯১১ সালে লাস ভেগাস নগরের মর্যাদা পায়।

লাস ভেগাস পরিপূর্ণ রূপ পাওয়ার পূর্বে একটি মরুভূমি ছিল। নিউইয়র্ক ও শিকাগোর মাফিয়ারা এই মহাবী মরুভূমিতে তাদের কালো টাকা সাদা করার জন্য আসে। সেখানে তারা গড়ে তোলে তাদের ব্যবসা বাণিজ্যের স্থান। শহরটিতে কোন ধরনের আইন না থাকায় অপরাধীদের কাছে লাস ভেগাস স্বর্গরাজ্য।

সমগ্র আমেরিকায় যেসকল কাজ নিষিদ্ধ আপনি লাসভেগাসে তাই করতে পারবেন। অপরাধীদের জন্য তৃণভূমি হিসেবে গড়ে উঠেছে  লাস ভেগাস। স্প্যানিস ভাষা লাস ভেগাস যার অর্থ তৃণভূমি।

পৃথিবীর সবচেয়ে বড় বড় ক্যাসিনো রয়েছে লাস ভেগাসে। তাছাড়া বিশ্বের বৃহত্তম বিলাসবহুল হোটেলের বেশিরভাগই এখানে অবস্থিত। অর্থ পাচারের রাজধানীও বলা হয় একে।

লাসভেগাসের আসল রূপ দেখা যায় রাতের বেলায়। শহরটির জনসংখ্যা প্রায় সাড়ে ৬ লাখ। শহরটি যেন রাতে ঘুমায় না। সন্ধ্যার পর থেকেই রকমারি আলোতে বদলে যায় নগরীর চেহারা।

পাপের শহরের সৌন্দর্য কিন্তু চোখ ধাঁধানো। শহরের চারিপাশে চোখ মেললেই দেখা মিলে পাহাড়ের। আর শীতের দৃশ্যতো অসাধারণ। চারদিকে বরফ আর বরফ। ৩৫২ বর্গকিলোমিটার আয়তনের শহরটিতে দুনিয়ার সবচেয়ে বড় ২৫টি হোটেলের ১৮টিই এখানে।

ভেগাসের ক্যাসিনোগুলোতে নেই কোন ঘড়ি। কারণ জুয়ার টেবিলে যারা বসে তারা যেন দিন-রাতের হিসেব না করতে পারে তার জন্যই এমন ব্যবস্থা। জুয়া খেলতে বসলে এখানে মদ ফ্রি।

শহরটিতে রয়েছে কয়েকশ হোটেল। আর হোটেলেগুলোতে কি নেই সেটা বলা কঠিন। প্রতি রাতে বসে জমজমাট ড্যান্স পার্টি। রাত গভীর হওয়ার সাথে সাথে হোটেলগুলোতে বাড়তে থাকে সুন্দরীদের আনাগোনা।

রাস্তায় বেরুলেই পাবেন লিফলেট আর কার্ড। তাতে ছবিসহ নারীদের ফোন নাম্বার দেয়া আছে। ডাকলেই অপ্সরারা চলে আসবে আপনার রুমে।

যুক্তরাষ্ট্রের অন্য যেকোনো শহরের তুলনায় এখানে হোটেল ভাড়া  অনেক কম। প্রতিবছর প্রায় চার কোটিরও বেশি লোক লাস ভেগাসে আসে ভ্রমণের জন্য।

সবখবর/ নিউজ ডেস্ক

নিউজটি শেয়ার করুন
Scroll to Top