ডেঙ্গু প্রতিরোধে যেসকল সতর্কতা আবশ্যক

বর্তমানে ডেঙ্গুর প্রকোপ বাড়ছে। ডেঙ্গু মোকাবেলায় আমাদের সবাইকে সতর্কতা থাকতে হবে। প্রানঘাতী এই ডেঙ্গু জ্বর সময়মতো চিকিৎসা না করলে বিপদ হতে পারে। সাধারনত আমাদের জ্বর আসলে স্বাভাবিক জ্বর না ডেঙ্গু জ্বর বুঝতে হলে প্রথমে চিকিৎসকের কাছে গিয়ে পরীক্ষা ও সঠিক চিকিৎসা দিতে হবে।

ডেঙ্গু জ্বরের কিন্তু কিছু উপসর্গ আছে। ডেঙ্গু জ্বর হলে শরীরের বিভিন্ন জায়গায় অস্বাভাবিক ব্যথা থাকবে, অনেকেরই ঠান্ডা লাগা বা সর্দির মত ভাব থাকতে পারে, কারও কারও উচ্চ মাত্রার জ¦র লক্ষ্য করা যায়, চোখের নিচে ব্যথা, প্রচন্ড মাথা ব্যথা বা মাথা ঘোরা, অনেকেরই পেটে ব্যথা ও বমি বমিভাব লক্ষ্য করা যায়।

আরো পড়ুন: নিয়মিত বেদানা খাওয়ার সুফল

বাংলাদেশে এখন পর্যন্ত ডেঙ্গু জ্বর কোন ওষুধ বা প্রতিষেধক তৈরী হয় নাই। তাই ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত রোগীদের সর্বপ্রথম এই জ্বরের উপসর্গের চিকিৎসা করতে হয়। চিকিৎসা করার সময় পরীক্ষায়  ডেঙ্গু নির্বাচন হলে প্রথমেই প্রচুর পানি খেতে হবে ও ফ্লুইড জাতীয় ফলের রস গ্রহণ করতে হবে। আমাদের দেশে ডেঙ্গুর চিকিৎসা শুধুমাত্র প্যারাসিটামল জাতীয় ওষুধ ও ফ্লুইড দেয়া হয়ে থাকে। অনেকেরই এই জ্বর থেকে সুস্থ্য হতে শুরু করলে হিমোকনসেস্ট্রেশন বা রিকভারি ফেজ কমপ্লিকেশন হতে পারে। গবেষকরা বলছেন, ডেঙ্গু জ্বর সাধারনত ১০ দিনের বেশি স্থায়ী হয় না। তবে সবার ক্ষেত্রে এই সমস্যা থেকে পরিত্রান পেতে হলে সমস্যা ও তার সমাধান এই সময়ের মধ্যে সম্ভব।

ডেঙ্গু জ্বর প্রতিরোধে মশা তাড়ানোর ক্ষেত্রে নিমপাতা অত্যন্ত উপকারী। মশা নিধনের জন্য নিমপাতা পোড়াতে পারেন। সবথেকে বেশি যা প্রয়োজন তা হলো সতর্কতা। আমাদের বাড়ির চারপাশে ড্রাম বা কোথাও যেন পানি জমে থাকে সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। ডেঙ্গুবাহি মশা বা অন্যান্য মশার জন্য দিনে/ রাতে ঘুমাতে হলে মশারি ব্যবহার করতে হবে।  

সবখবর/ নিউজ ডেস্ক

নিউজটি শেয়ার করুন
error: Content is protected !!
Scroll to Top