রহস্যময় পৃথিবীতে অনেক সহস্যময় স্থান রয়েছে যা মানুষের এখন পর্যন্ত অজানা। তেমনই এক জায়গা হলো রাশিয়ার উত্তর ওসেটিয়ার দারগাভসে। রুপ-বৈচিত্রে অনন্য ও সৌন্দর্যের মায়াজালে ঘেরা এই গ্রামটিতে মানুষ উধাও হয়ে যায়। তবুও গ্রামটির প্রতি আকর্ষণ বোধ করে পর্যটকরা।
রাশিয়ার এই রহস্যময় নির্জন গ্রামটি “মৃতের শহর” বলে পরিচিত। উচু পাহাড়ের পাশের এই গ্রামটিতে সাদা পাথরের ৯৯টি সেলার রয়েছে। পাহাড়ের মাঝে সরু রাস্তা ও আবহাওয়া খারাফ থাকার কারনে সেখানে পৌছাতে অনেক বেগ পেতে হয়। ধারনা করা হচ্ছে, ১৬ শতকের দিকে এই সমাধিগুলো নির্মিত হয়েছে। গ্রামটি নিয়ে প্রচলিত আছে, এই গ্রামে যেই ঘুরতে আসেন তিনি আর ফিরে যেতে পারেন না।
আসলে স্থানীয়রা তাদের স্বজনদের মৃতদেহ এখানে সমাহিত করে থাকেন। তবে প্রত্নতাত্ত্বিকদের মতে, সেখানকার প্রত্যেকটি সমাধির কাছে একটি করে নৌকা পাওয়া যাবে। স্থানীয় বাসিন্দাদের ধারণা, সেই নৌকা তার স্বজনদের আত্নাকে স্বর্গে নিয়ে যাবে। আর সেই জন্য মৃতদের সমাধি দেওয়ার পরই সমাধির পাশে একটি করে নৌকা রাখা হয়।
প্রত্নতাত্ত্বিকরা সেখানে একটি কুপও আবিষ্কার করেছেন। সেখানে তারা মৃত স্বজনদের সমাধিতে মুদ্রা নিক্ষেপ করে। প্রচলিত আছে, কুপের মধ্যে মুদ্রা নিক্ষেপ করার পর পাথরের সাথে লেগে ঝনঝন শব্দ হলে, তাদের স্বজনদের আত্না স্বর্গে পৌছে যায়।
মূলত, ইতিহাসের তথ্যানুযায়ী ১৭ ও ১৮ শতকের দিকে প্লেগ মহামারির কারনে এসব মৃত শহরের ছোট ছোট সেলগুলোতে সেইসব রোগীরা আশ্রয় নিত এবং সেখানেই তারা মারা গিয়েছিল। স্বাভাবিকভাবে মৃতরা আর ফিরে আসতে পারে না কারন মৃত ব্যক্তিদের এই গ্রামটিতে কবর দেওয়া হয়ে থাকে। আর সেই জন্যই এই গ্রামটিকে “মৃতের শহর” বলা হয়ে থাকে।
সবখবর/ নিউজ ডেস্ক