অভিভাবক হিসেবে এসএসসি-এইচএসসি পরীক্ষাসহ সব ফরম পূরণে মাকেও স্বীকৃতি দিয়ে রায় দিয়েছেন হাইকোর্ট।
মঙ্গলবার বিচারপতি নাইমা হায়দার ও বিচারপতি খায়রুল আলমের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এই রায়টি ঘোষণা করেন।
অ্যাডভোকেট আইনুননাহার সিদ্দিকা, এস এম রেজাউল করিম ও আয়েশা আক্তার আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন । অন্যদিকে রাষ্ট্রপক্ষে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল অমিত দাশ গুপ্ত শুনানিতে অংশ নেন।
২০০৭ সালের এপ্রিল মাসে বিভিন্ন সংবাদপত্রে প্রকাশিত তথ্যের ভিত্তিতে জানা যায়, ঠাকুরগাঁয়ে এসএসসি পরীক্ষায় এক শিক্ষার্থী তথ্য ফরমে অত্যাবশ্যকীয়ভাবে বাবার নাম পূরণ করতে না পারায় ওই শিক্ষার্থী প্রবেশপত্র দিতে অস্বীকৃতি জানিয়েছিল রাজশাহী শিক্ষা বোর্ড। উল্লেখ্য যে, মা ও সন্তানকে কোনোরূপ স্বীকৃতি না দিয়ে বাবার চলে যাওয়ার পর ওই তরুণী তার মায়ের কাছের বড় হচ্ছিলেন।
পরে এ ঘটনার যথাযথ অনুসন্ধানের পর ২০০৯ সালের ২ আগষ্ট বাংলাদেশ লিগ্যাল এইড অ্যান্ড সার্ভিসেস ট্রাস্ট (ব্লাস্ট), বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ ও নারীপক্ষ যৌথভাবে জনস্বার্থে রিট দায়ের করেছিল। রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে ২০০৯ সালের ৩ আগস্ট বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহম্মেদ ও বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরীর সমন্বয়ে গঠিত তৎকালীন হাইকোর্ট বেঞ্চ বিদ্যমান বৈষম্যমূলক এ বিধানকে কেন আইনের পরিপন্থি এবং অসাংবিধানিক হিসেবে ঘোষণা করা হবে না-মর্মে রুল জারি করেন।
পরে ২০২১ সালের ৬ জুন ব্লাস্ট আবেদনকারীদের পক্ষে একটি সম্পূরক হলফনামা আদালতে দাখিল করে।
সবখবর/ নিউজ ডেস্ক