আজ ১২ রবিউল আওয়াল মহানবী হযরত মোহাম্মদ (সা:) এর শুভ আবির্ভাবের দিন। ৫৭০ খ্রিষ্টাব্দের এই দিনে তিনি জন্মগ্রহণ করেছিলেন। দিনটি সারা মুসলিম জাহানের কাছে পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সা:) নামে পরিচিতি।
আজকের এই দিনে আরবের মক্কা নগরীর কুরাইশ গোত্রে মা আমিনার কোল আলোকিত করে এসেছিলেন আমাদের প্রিয় নবী।
আইয়ামে জাহিলিয়ার ওই যুগে গোটা আরব ছিল অন্ধকারে নিমজ্জিত। তারা আল্লাহকে ভুলে গিয়ে নানা অপকর্মে লিপ্ত হয়ে গিয়েছিল। গোটা আরবে দেখা দিয়েছিল অরাজকতা ও বিশৃঙ্খলা। তখনকার সময় মানুষ হানাহানি ও কাটাকাটিতে লিপ্ত ছিল। এই অন্ধকার যুগ থেকে মানবকুলের মুক্তিসহ তাদের আলোর পথ দেখাতে মহান আল্লাহ তায়ালা রাসুলুল্লাহকে (স) পৃথিবীতে পাঠিয়েছিলেন।
পবিত্র কোরআনে বর্ণিত আছে ‘মহানবীকে (সা:) সৃষ্টি না করলে মহান আল্লাহ পৃথিবীই সৃষ্টি করতেন না। বাংলাদেশসহ বিশ্ব মুসলিম সম্প্রদায় এ দিনটি নানা আয়োজনে পালন করে থাকেন।
পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (স) উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী পৃথক বাণী দিয়েছেন।
রাষ্ট্রপতি মো: আব্দুল হামিদ তার বাণীতে বলেন, প্রিয় নবী হযরত মোহাম্মদ (সা:) এর আদর্শ ও বিচক্ষণতা বর্তমান বিশ্বে জাতিতে জাতিতে সংঘাত-সংঘর্ষ নিরসনে সহায়ক ভূমিকা রাখতে পারে। দুনিয়াতে তাঁর আগমন ঘটেছিল ‘সিরাজাম মূনিরা’ অর্থাৎ আলোকোজ্জ্বল প্রদীপরূপে। তৎকালীন আরব সমাজের অন্যায়, অবিচার, অসত্য ও অন্ধকারের বিপরীতে তিনি মানুষকে আলোর পথ দেখান। সেই সাথে তিনি প্রতিষ্ঠা করেন সত্য, সুন্দর ও ন্যায়ভিত্তিক সমাজ ব্যবস্থা।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার বাণীতে বলেন, মহানবী (সা:) সুমহান আদর্শ ও সুন্নাহ অনুসরণের মাধ্যমেই মুসলমানদের অফুরন্ত কল্যাণ, সফলতা ও শান্তি নিহিত রয়েছে। হযরত মুহাম্মদ (সা:) এসেছিলেন তওহিদের মহান বাণী নিয়ে। তিনি সব ধরনের কুসংস্কার, অন্যায়, অবিচার, পাপাচার ও দাসত্বের শৃঙ্খল ভেঙে মানবসত্তার চিরমুক্তির বার্তা নিয়ে এসেছিলেন পৃথিবীতে।
দিনটি উপলক্ষ্যে সারা দেশেই নেয়া হয়েছে নানা আয়োজন। দিনটি উপলক্ষ্যে দেশের সব হাসপাতাল, কারাগার, সরকারি শিশুসদন, বৃদ্ধনিবাস, মাদকাসক্তি নিরাময়কেন্দ্রে উন্নত খাবার পরিবেশন করা হবে।
সবখবর/ নিউজ ডেস্ক