মানিকগঞ্জের তিনটি সংসদীয় আসনের মধ্যে একমাত্র মানিকগঞ্জ-২ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী সাহাবুদ্দিন আহমেদ চঞ্চল খোলা ময়দানে সম্মেলনের মাধ্যমে তার ২০ দফা নির্বাচনী ইশতেহার ঘোষনা করলেন।
পদ্মা নদীভাঙন রোধে স্থায়ী বাঁধ নির্মাণসহ শিক্ষা,কৃষি চিকিৎসা ও অবকাঠামো খাতকে প্রাধান্য দিয়ে এই নির্বাচনী ইশতেহার ঘোষণা করেছেন মানিকগঞ্জ-২ আসনের (সিংগাইর,হরিররমাপুর ও সদরের তিনটি ইউনিয়ন) স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য প্রার্থী সাহাবুদ্দিন আহমেদ চঞ্চল।
শুক্রবার দুপুরে হরিরামপুর উপজেলা চত্বরে মুক্তিযোদ্ধা ভাস্কর্য‘র পাদদেশে ব্যতিক্রমী উন্মুক্ত সংবাদ সম্মেলনে মা দিলুয়ারা বেগম, চাচা মো.সলিম উদ্দিন, স্ত্রী গোধূলী আহমেদ, একমাত্র কন্যা নিতারা সামসুদ্দিনের উপস্থিতিতে ২০ দফা ইশতেহার ঘোষণা করেন তিনি।
সাহাবুদ্দিন আহমেদ চঞ্চল আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের কেন্দ্রীয় সদস্য। তিনি মানিকগঞ্জ-২ আসনের সাবেক স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য প্রয়াত সামসুদ্দিন আহমেদের ছেলে।
ঈগল প্রতিক নিয়ে নির্বাচনকারী সাহাবুদ্দিন আহমেদ চঞ্চল বলেন, প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের মধ্যে অর্থনৈতিকভাবে আমি সবচেয়ে দুর্বল। জনগণের টাকায় আমি মনোনয়নপত্র কিনেছি। কর্মী-সমর্থকেরা তাদের পকেটের টাকায় আমার নির্বাচনী খরচ বহন করছেন। আমি আমার ইশতেহার সাধারণ মানুষের ইশতেহার হিসেবেই মনে করছি। আমার বিজয় হলে সাধারণ জনগণেরই বিজয় হবে। আমি আগের কোনো সংসদ সদস্যের উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ড অস্বীকার করি না। বরং আমি নির্বাচিত হলে পূর্ববতী উন্নয়নের ধারাবাহিকতার সাথে আরও নতুনত্ব যোগ করবো। আমার নির্বাচনী ইশতেহারে কৃষি, শিক্ষা, গণপরিবহন, পদ্মা রোধে স্থায়ী বাঁধ নির্মাণসহ সুনির্দিষ্ট উন্নয়ন পরিকল্পনা ফুটে উঠেছে।
২০ দফা ইশতেহার ঘোষণায় ঈগল প্রতিকের স্বতন্ত্র প্রার্থী চঞ্চল জানান, তিনি নির্বাচিত হলে সাধারণ জনগণের স্বাস্থ্য, রাস্তাঘাটের উন্নয়ন, চরাঞ্চলে পর্যটন শিল্পের বিকাশ, মাদক নির্মূল, বাল্যবিবাহ রোধ, স্কুল কলেজে স্টুডেন্ট উইক, ডিবেটিং ক্লাব, বুদ্ধিবৃত্তিক চর্চা কেন্দ্র গড়ে তোলাসহ জীবনমান উন্নয়ন ও গণতান্ত্রিক সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিতের জন্য কাজ করবেন। দেশের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব, সংবিধান ও জাতীয় সংসদের মর্যাদাকে সমুন্নত রাখবেন। জনগণের ভোট নিয়ে বিদেশে বিলাসী জীবনযাপন করবেন না। তার বাবা সামসুদ্দিন আহমেদও স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে নির্বাচন করে নির্বাচিত হয়েছিলেন। তার বাবা যেভাবে জনগণের জন্য নিঃস্বার্থভাবে কাজ করেছেন ঠিক সেভাবেই তিনি জনগণের জন্য কাজ করবেন।
ইশতেহার তিনি আরও বলেন, মানিকগঞ্জ ২ আসন নদী ভাঙন কবলিত এলাকা। তাই তিনি পদ্মা ভাঙন থামাও, হরিরামপুর বাচাঁও আন্দোলনের সমন্বয়কারী হিসেবে আন্দোলন করে যাচ্ছেন। তিনি সংসদ সদস্য নির্বাচিত হলে ভাঙন রোধে স্থায়ী সমাধানকে বেশি গুরুত্ব দেবেন।
হরিরামপুর উপজেলার একমাত্র প্রার্থী হিসেবে চঞ্চল এবারের সংসদ নির্বাচনে চমক দেখাতে পারেন বলে জানিয়েছেন ভোটাররা।
উল্লেখ, তিনটি পৃথক আসনে ২০ জন প্রার্থী নিরবাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। চঞ্চল ছাড়া এপর্যন্ত কোন প্রার্থী তাদের নির্বাচনী ইশতেহার ঘোষনা করেননি।
সবখবর/ নিউজ ডেস্ক