মানিকগঞ্জের সিংগাইর উপজেলার আজিমপুর গ্রামের তরুণ কৃষি উদ্যোক্তা মোনায়েম আহমেদ বিপ্লব। পড়াশোনা শেষ করে চাকরির পেছনে না ছুটে জড়িয়ে পড়েছেন কৃষিকাজে।
নিজের ১২ বিঘা জমিতে পেঁপে চাষ করে তাক লাগিয়ে দিছেন বিপ্লব। নিজের অর্থনৈতিক উন্নয়নের পাশাপাশি কয়েকজন মানুষের কর্মসংস্থানও গড়ে তুলেছেন তার পেঁপে বাগানে।
প্রায় ১২ বছর আগে ৬বিঘা জমিতে ফুল চাষ করে তার কৃষি কাজে তার পদার্পণ ঘটে। তবে সুবিধে হয়নি ফুল চাষে। ফুল চাষে কয়েক লাখ টাকা লোকসান গুনতে হয়েছিল তাকে। তবে, লোকসান হলেও বিমুখ হননি বিপ্লব। ফুল চাষে লোকসানের বছর দুই পরেই পরিবারের সকলের সহযোগিতা নিয়ে নিজেদের ১২ বিঘা জমিতে শুরু করেন পেপে চাষ। তারপর আর পেছন ফিরে তাকাতে হয়নি।
আরো পড়ুন: সিংগাইরে তথ্য অফিসের উদ্যোগে উঠান বৈঠক
তরুণ উদ্যোক্তা বিপ্লব জানান, ছোট বেলা থেকেই কৃষির উপর আলাদা একটা টান অনুভব করি। সেই টান থেকেই চাকরি বাকরি না করে কৃষিকাজে জড়িয়ে পড়েছি। আসলে কৃষি কাজের মধ্যে আলাদা একটা সুখ অনুভব করি।
তিনি বলেন, আমার এই পেপে বাগানে ৪/৫ জন শ্রমিক নিয়মিত কাজ করে। তাদের একটা কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করতে পেরেছি এটাও আমার জন্য অনেক কিছু।
বিপ্লব বলেন, বিঘা প্রতি পেপে চাষে খরচ হয়ে থাকে ৪০ থেকে ৪৫ হাজার টাকা। তাতে বিঘা প্রতি সব খরচ বাদ দিয়ে তার আয় হয় এক লাখ টাকার মত। স্থানীয় বিভিন্ন সবজির হাটসহ ঢাকার বড় বড় বাজারে যাচ্ছে বিপ্লবের পেপে। তাদের বাগানের পেপে গুনে ও পুষ্টি মানে ভাল হওয়ায় বাজারে এর একটা ভাল চাহিদা রয়েছে।
আরো পড়ুন: সিংগাইরে রোগীর ভাইয়ের হাতে মারধরের শিকার চিকিৎসক
তবে, বিপ্লবের এমন উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়ে স্থানীয় মোস্তাক আহমেদ নামের আরেক তরুন বলেন, বিপ্লব ভাই যে বাগানটি করেছেন তা সত্যিই অনেক সুন্দর এবং প্রশংসনীয়। চাকরির পেছনে না ছুটে তিনি নিজে স্বাবলম্বী হয়েছেন পাশাপাশি অনেকের কর্মসংস্থানও তৈরি করেছেন। তার এই বাগান থেকে অনেকেই পেপে বাগান করতে উদ্বুদ্ধ হচ্ছেন।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা টিপু সুলতান সপন বলেন, সিংগাইরের মাটি ভাল হওয়ায় এখানে পেপেসহ বিভিন্ন প্রকারের সবজির আবাদ হয়ে থাকে। অল্প সময়ের মধ্যে ফলন আসায় কৃষকরা পেপে চাষে উৎসাহিত হচ্ছেন। সিংগাইরে প্রায় ৬০০ হেক্টর জমিতে পেপের আবাদ হয়েছে।
তিনি আরো বলেন, তরুন উদ্যোক্তা বিপ্লবের পেপে বাগান আমি একাধিকবার পরিদর্শন করেছি। তাকে কৃষি বিভাগের পক্ষ থেকে নিয়মিত পরামর্শ দেয়া হচ্ছে।
সবখবর/ নিউজ ডেস্ক