স্বপ্নের শহর দার্জিলিং

দার্জেলিং

দার্জিলিং নামটি শুনলেই স্বপ্নের একটি শহরের কথা মনে পড়ে যায়। প্রকৃতির অপরুপ দৃশ্য, শীতের মিষ্টি আমেজ ও হিমালয় এবং পাহাড়ের মন মাতানো মেঘের সাথে লুকোচুরির দৃশ্য কি নেই এখানে। মনে হয় একটু যদি ঘুরে আসতে পারতাম নগরটির সৌন্দর্য দেখতে।

মনোরম, সুন্দর ও পরিপাটির দার্জিলিং শহরটি পুরোটাই পাহাড়ের ওপরে অবস্থিত। ঋতুভেদে বাংলাদেশের সাথে এই শহরটির কিন্তু কোন মিল নেই। বাংলাদেশে যখন শীত পড়ে তখন কিন্তু দার্জিলিংয়ে বরফ এবং গরমের সময় সেখানে এক মিষ্টি শীতের আমেজ থাকে।

 দার্জিলিং শহরটি আকাশের খুব কাছে বলে মনে হবে মেঘের রাজ্যে চলে গিয়েছি। খুব সহজেই মেঘ এসে ধরা দেয়। দার্জিলিং শহরের প্রকৃতির রুপ কিন্তু খুব দ্রুত পরিবর্তন হয়ে থাকে। তাই এর নাম শুনলে সবার মাঝে কেমন যেন একটি ভাললাগা সৃষ্টি হয়।

শহরটি নিম্ন হিমালয়ের মহাভারত শৈলশ্রেণীর ভূপৃষ্ঠ হতে প্রায় ৭,১০০ ফুট উচুতে এর অবস্থান। দার্জিলিং জেলাটি ১৮৬৬ খ্রিস্টাব্দের মধ্যে ১,২৩৪ বর্গমাইল নিয়ে ভারতের পশ্চিমবঙ্গে অবস্থিত।

গরমকালে অতিরিক্ত তাপদাহ থেকে পরিত্রান পেতে ব্রিটিশরা দার্জিলিংয়ের অনুকুল আবহাওয়ায় বসবাস শুরু করেন। পরবর্তীতে এই শহরটি শৈলশহর ও স্বাস্থ্যের উদ্ধারকেন্দ্র হিসেবে পরিচিতি লাভ করে।

আর্থার ক্যাম্পবেল ও রবার্ট নেপিয়ার এই শহরটি পুন:গঠনের প্রথিকৃত হিসেবে ধরা হয়ে থাকে। ১৮৩৮ হতে ১৮৪৯ সালের দিকে তাদের প্রচেষ্টায় পাহাড়ের মাঝে চাষাবাদ ও ব্যবসার সম্প্রসারন হলে শহরটিতে জনসংখ্যা শতভাগ বাড়তে থাকে।

বাংলাদেশ থেকে দার্জিলিংয়ে আকাশপথ ও স্থলপথ দুইভাবেই ভ্রমন করতে পারবেন। তবে আকাশপথের চেয়ে স্থলপথে গেলে চারপাশের সব পাহাড়ী সব মনোরম দৃশ্য ও আঁকাবাঁকা সর্পিল পথ দেখতে দেখতে যেতে পারবেন।

দার্জিলিং শহরটিতে পাবেন টাইগার হিল, বাতাসিয়া লুপ, রক গার্ডেন, চৌরাস্তা এবং মল ও কাঞ্চনজঙ্গার মত সব মনোরম স্থান। দার্জিলিংয়ে এসব স্থান দর্শনের পাশাপাশি আপনি ঘুরতে যেতে পারেন পার্ক ভিউ রাইড, চিড়িয়াখানা, তেনজিং রাইড, কালিম্পং, লাভা ও মিউজিয়ামসহ মনোরম সব দৃশ্য।

ইতিহাসে দার্জিলিং ও টয়োট্রেন সঙ্গে একটি নিবিড় সম্পর্ক রয়েছে। শহরটিতে যাবেন আর টয়োট্রেনে চড়বেন না তা কি হয়। এই টয়োট্রেনে চড়ে পুরো শহরটি আপনি ঘুরে দেখতে পারবেন। যা ভ্রমণ পিপাসু হিসেবে আপনার মন ভরিয়ে দিতে পারে।

শীতের মধ্যে যদি যেতে চান তবে অবশ্যই পর্যাপ্ত গরম কাপড় সাথে নিয়ে যাবেন। পর্যাপ্ত হোটেল থাকার কারনে যাচাই বাছাই করে কমবেশি সব রুমই নিতে পারবেন। দার্জিলিং শহরটি রাত আটটার মধ্যে সব দোকানপাট ও শপিংমল বন্ধ হয়ে যায়। শহরটিতে ডলার ভাঙ্গানো অনেক কঠিন এবং বিভিন্ন ধরনের প্রতারনা থেকে সাবধান হয়ে ভ্রমন শেষ করতে পারেন।

সবখবর/ নিউজ ডেস্ক

নিউজটি শেয়ার করুন
Scroll to Top