দ্বিতীয় স্ত্রীকে হত্যা করে পালিয়ে থাকার ৬ দিনের মাথায় ঘাতক স্বামী বাবুল মিয়াকে (৩৮) গ্রেপ্তার করেছে মানিকগঞ্জ সদর থানা পুলিশ।
শুক্রবার দুপুরে এক সংবাদ সম্মেলনে বাবুলকে গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করেন পুলিশ সুপার মোহাম্মদ গোলাম আজাদ খান।
এর আগে গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে খুলনা জেলার কোতয়ালী থানার হাদিস পার্কের সামনে থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তার বাবুল মিয়া মানিকগঞ্জের হরিরামপুর উপজেলার দড়িকান্দি গ্রামের শেখ কাশেমের ছেলে।
পুলিশ জানায়, প্রায় তিন বছর আগে জেলার সিংগাইর উপজেলার বায়রা ইউনিয়নের চর নয়াবাড়ি গ্রামের মৃত ছইজুদ্দিনের মেয়ে রোকসানার সাথে (৩৮) বাবুলের বিয়ে হয়। বিয়ের পর রোকসানা অধিক আয়ের আশায় সৌদি আরবে পাড়ি জমায়। তিনি তার আয়ের টাকা দিয়ে স্বামীর মাধ্যমে সদর উপজেলার পশ্চিম শানবান্ধা গ্রামে জমি কিনে বাড়ি নির্মাণ করেন। গত ৬ অক্টোবর রোকসানা দেশে এসে ঢাকার সাভারে বাসা ভাড়া নিয়ে বসবাস করতে থাকেন। গত ১৩ অক্টোবর বিকেলে নিজের বাড়ির কাজ দেখার জন্য তিনি স্বামীকে নিয়ে শানবান্ধা আসেন। রাতে নির্মানাধীন ওই বাড়ির একটি কক্ষে তারা থাকেন। ওই সময় তাদের মধ্যে পারিবারিক বিষয় নিয়ে ঝগড়ার সৃষ্টি হয়। রোকসানা ঘুমিয়ে পড়লে বাবুল তার স্ত্রীকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে। পরে তার মরদেহ বাড়ির মেঝেতে পুতে রেখে বাবুল আত্মগোপনে চলে যায়।
পুলিশ সুপার গোলাম আজাদ খান জানান, ওই বাড়ি থেকে লাশের দুর্গন্ধ ছড়িয়ে পড়লে বিষয়টি স্থানীয়রা পুলিশকে জানায়। পরে পুলিশ ওই ঘরের মেঝে থেকে রোকসানার অর্ধ গলিত মরদেহ উদ্ধার করে।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মানিকগঞ্জ থানার ওসি আব্দুর রউফ জানান, গত বুধবার অজ্ঞাত পরিচয়ের মরদেহটি উদ্ধার করে মর্গে পাঠায় পুলিশ। পরে রোকসানার বড় ভাই ফজল মিয়া মর্গে থেকে তার বোনের মরদেহ সণাক্ত করে। ওই দিনই তিনি সদর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।
তিনি আরো জানান, তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে তার নেতৃত্বে এসআই টুটুল উদ্দিন, শাহজামাল, এএসআই ইমরান হাসান খুলনা থেকে বাবুলকে গ্রেপ্তার করে। আসামীকে দ্রুত সময়ের মধ্যে আদালতে প্রেরণ করা হবে।