মানিকগঞ্জের সিংগাইরে জমি ব্যবসা সংক্রান্ত বিরোধে খন্দকার সাইফুল ইসলাম কমল হত্যা মামলায় একজনের যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদন্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে তাকে ২০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে ৬ মাসের বিনাশ্রম কারাদন্ড দেওয়া হয়েছে।
দুপুরে আসামীদের উপস্থিতিতে এ রায় দেন অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক সাবিনা ইয়াসমিন।
সাজাপ্রাপ্তের নাম শিমুল। তিনি ঢাকার ধামরাই উপজেলার ইশাননগর গ্রামের মোস্তাফিজুর রহমানের ছেলে।
আদালত সূত্রে জানা যায়, খন্দকার সাইফুল ইসলাম কমল পার্শ্ববর্তী তালেবপুর গ্রামের ফয়েজ আহম্মেদের সাথে জমির ব্যবসা করতেন। সেই সুবাধে ফয়েজের ভাগিনা শিমুল তার মামার সাথে জমির ব্যবসা করায় কমলের সাথেও ঘনিষ্ট হয়ে যায়। ২০১৪ সালের ১৬ এপ্রিল দুপুর ২ টার দিকে কমলের বাড়ি আসেন শিমুল। পরে তারা দুজন মোটরসাইকেল নিয়ে বাড়ি থেকে বের হয়ে যান। বিকাল ৫ টা পর ফয়েজ ফোন করে জানায় কমল ধামরাই এলাকায় মোটরসাইকেল দূর্ঘটনায় মারা গেছেন। সন্ধ্যা ৭ টার দিকে অ্যাম্বুলেন্সে করে কমলের লাশ বাড়িতে আনা হয়। সেদিন রাত ১২টার দিকে কমলের লাশ দাফন করা হয়।
পরের দিন কমলের পরিবার খোঁজ নিয়ে জানতে পারে শিমুল ও তার মোটরসাইকেলটিও সম্পূর্ন অক্ষত আছে। কোথায় কিভাবে কমল দূর্ঘটনা কবলিত হয় তার সঠিক তথ্য দিতে পারে না শিমুল। এমনকি ধামরাই থানায়ও দূর্ঘটনা সম্পর্কে কোন অভিযোগ বা সংবাদ পায়নি পুলিশ। বিষয়টি নিয়ে সন্দেহ দেখা দিলে কমলের বাবা খন্দকার মো. রেজাউল ইসলাম সিঙ্গাইর থানায় ছয়জনকে আসামী করে একটি মামলা দায়ের করেন। এ ঘটনায় ২০১৪ সালের ১০ জুলাই আদালতে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন সিংগাইর থানার তৎকালীন উপ-পরিদর্শক মো. মিরান হোসেন মৃধা। ১৮ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে অভিযোগ প্রমাণ হওয়ায় এ রায় দেন বিচারক। বাকি ৫ জনের বিরুদ্ধে এই মামলায় সংশ্লিষ্টতা না থাকায় তাদের খালাশ দেওয়া হয়েছে।
মামলায় রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ছিলেন মথুর নাথ সরকার। আসামি পক্ষের আইনজীবী ছিলেন ফরহাদ খান ও দেলোয়ার হোসেন।
সবখবর/ নিউজ ডেস্ক