মানিকগঞ্জে গণসংযোগে ব্যস্ত জামায়াতের তিন প্রার্থী

আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মানিকগঞ্জ জেলার তিনটি আসনে জামায়াত ইসলামের তিনজন প্রার্থী মনোনীত হয়েছেন। তারা প্রত্যেকেই নিজ নিজ এলাকায় জনসংযোগসহ বিভিন্ন সামাজিক ও ধর্মীয় অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করে নির্বাচনী প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন।

ঘিওর, দৌলতপুর ও শিবালয় উপজেলা নিয়ে গঠিত মানিকগঞ্জ-১ আসনে জামায়াতের প্রার্থী পেশাগত অঙ্গসংগঠন ন্যাশনাল ডক্টরস ফোরাম ঢাকা মহানগর উত্তরের সদস্য ডাঃ আবু বকর সিদ্দিক। তিনি ইতিমধ্যেই তার নির্বাচনী এলাকায় ব্যাপক প্রচারণা শুরু করেছেন।

তিন বলেন, জনগণ পরিবর্তন চায়। তারা ইতিপূর্বে বিভিন্ন দলের সরকার দেখেছে, কিন্তু এবার তারা জামায়াতকে দেখতে চায়। আমি জনগণের জন্য কাজ করার এবং নির্বাচনী এলাকায় অভূতপূর্ব উন্নয়নের অঙ্গীকার করছি। জনগণের ভোটে নির্বাচিত হলে চাঁদাবাজি, মাদক ও সন্ত্রাসবিরোধী কার্যক্রম চালিয়ে একটি সুন্দর আসন গড়ে তুলবেন।

মানিকগঞ্জ-২ আসন, যা সিংগাইর, হরিরামপুর ও মানিকগঞ্জ সদর উপজেলার একাংশ নিয়ে গঠিত। সেখানে প্রার্থী হয়েছেন বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের সাবেক কেন্দ্রীয় সভাপতি ও ইবনে সিনা ট্রাস্টের ডিজিএম মুহাম্মদ জাহিদুর রহমান।

তিনি বলেন, মানুষ ইতিপূর্বে বিভিন্ন সরকার দেখেছে, এখন সময় এসেছে পরিবর্তনের। আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি, জনগণ জামায়াতকে ক্ষমতায় দেখতে চায়। আমরা ইতিমধ্যেই তাদের কাছ থেকে আশানুরুপ সাপোর্ট পাচ্ছি। আমাদের লক্ষ্য মানিকগঞ্জ-২ এলাকা ব্যাপক উন্নয়নে এগিয়ে নেওয়া।

তিনি তার পরিকল্পনায় উল্লেখ করেছেন, ঐতিহাসিক গ্রান্ড ট্যাংক রোড হিসেবে পরিচিত মানিকগঞ্জ-সিংগাইর-হেমায়তেপুর সড়কটিকে চার লেনে উন্নীত করার উদ্যোগ নেওয়া হবে, যা জেলার যোগাযোগ ব্যবস্থাকে নতুন মাত্রা দেবে। পাশাপাশি, নদী ভাঙনের কবল থেকে হরিরামপুর উপজেলাকে স্থায়ীভাবে রক্ষা করার জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করবেন।

অন্যদিকে মানিকগঞ্জ-৩ আসন যা মানিকগঞ্জ সদর ও সাটুরিয়া উপজেলা নিয়ে গঠিত। এই আসনটিতে জামায়াতের সাবেক জেলা আমির মাওলানা মো. দেলোয়ার হোসাইনকে প্রার্থী হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। তিনি নির্বাচনী মাঠে সক্রিয় ও সারা দিন প্রচারণায় ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন।

তিনি বলেন, মানিকগঞ্জের মানুষ উন্নয়ন ও ন্যায়ের প্রত্যাশায় নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন। আমি তাদের আশা পূরণে কাজ করতে চাই এবং বিশ্বাস করি, আমাদের প্রচেষ্টা এই অঞ্চলের জন্য ইতিবাচক পরিবর্তন নিয়ে আসবে।

জেলা রাজনৈতিক মহল ও সাধারণ জনগণের মধ্যে জামায়াতের এই তিন প্রার্থীর জনপ্রিয়তা বাড়ছে। তারা তাদের কর্মসূচি ও জনসংযোগের মাধ্যমে শক্ত অবস্থান গড়ে তুলতে সক্ষম হচ্ছেন।

নিউজটি শেয়ার করুন
Scroll to Top