জাতীয় নির্বাচনের স্বচ্ছতা ও গ্রহণযোগ্যতা নিশ্চিত করতে তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা পুনর্বহালের প্রস্তাব দিয়েছেন সংবাদপত্রের সম্পাদকেরা। এছাড়াও সরাসরি নারী আসনে ভোট গ্রহণ, প্রবাসীদের ভোটাধিকার এবং নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় অর্থের প্রভাব কমানোর বিষয়ে সুপারিশ উত্থাপন করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের সঙ্গে এক বৈঠকে এসব প্রস্তাব তুলে ধরেন তাঁরা।
বৈঠক শেষে সংস্কার কমিশনের প্রধান বদিউল আলম মজুমদার সাংবাদিকদের জানান, প্রাপ্ত মতামতগুলো বিবেচনা করে সংশ্লিষ্ট প্রস্তাব তৈরি করা হবে। এ প্রসঙ্গে প্রথম আলোর যুগ্ম সম্পাদক সোহরাব হাসান বলেন, “জনপ্রতিনিধিরা যেন নিজ নির্বাচনী এলাকার প্রতিনিধিত্ব করেন, তা নিশ্চিত করতে হবে। এছাড়া নারী আসনে সরাসরি নির্বাচনের ব্যবস্থা করা এবং নির্বাচনী প্রচার রাষ্ট্রীয় খরচে পরিচালনার বিষয়ে পদক্ষেপ নিতে হবে।”
আজকের পত্রিকার সম্পাদক ড. মো. গোলাম রহমান মনে করেন, “দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন প্রভাবিত হওয়ার ঝুঁকি বেশি। তাই গণমাধ্যমের প্রবেশাধিকার নিশ্চিত এবং প্রবাসীদের ভোটাধিকার কার্যকরের জন্য আগে থেকেই আইনি সংস্কার প্রয়োজন।”
ডেইলি স্টার বাংলার সম্পাদক গোলাম মোর্তজা অতীতের ত্রুটিগুলো বিশ্লেষণের ওপর জোর দিয়ে বলেন, “বিগত তিন নির্বাচন কমিশনের কর্মকাণ্ড খতিয়ে দেখা জরুরি। তাঁদের থেকে প্রকৃত তথ্য জানা এবং নির্বাচনী অপরাধের জন্য কঠোর শাস্তির বিধান রাখা উচিত।”
এছাড়াও, নির্বাচন পর্যবেক্ষণের স্বচ্ছতা ও কার্যকারিতা নিয়ে কালের কণ্ঠ, যুগান্তর এবং অন্যান্য পত্রিকার সম্পাদকরা গুরুত্বপূর্ণ মতামত দিয়েছেন। পর্যবেক্ষকদের নিরপেক্ষভাবে কাজ করার জন্য পর্যাপ্ত তহবিল এবং বাধাহীন প্রবেশাধিকার নিশ্চিত করার ওপরও জোর দেওয়া হয়।
সংস্কার কমিশন জানিয়েছে, বিগত তিন নির্বাচন কমিশনের কাজ পর্যালোচনা করে প্রয়োজনীয় শিক্ষা নিয়ে সুপারিশ তৈরি করা হবে। তবে, সাবেক কমিশনের সদস্যদের এ আলোচনায় অংশগ্রহণের ব্যাপারে অনিশ্চয়তার কথা জানানো হয়।
পরিশেষে, সংবাদপত্রের সম্পাদকরা মনে করেন, নির্বাচন পদ্ধতির সবধরনের ত্রুটি চিহ্নিত করে প্রয়োজনীয় সংস্কার আনলে জনগণের আস্থা পুনঃপ্রতিষ্ঠা সম্ভব হবে।
সবখবর/ নিউজ ডেস্ক