মানিকগঞ্জ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আফরোজা খান রিতার নেতৃত্বে জেলা বিএনপিতে এক শুদ্ধি অভিযান চলছে, যার লক্ষ্য সংগঠনকে শৃঙ্খলা এবং আদর্শের পথে ফিরিয়ে আনা। রিতার কঠোর ও অবিচল পদক্ষেপের মাধ্যমে চাঁদাবাজি, দায়িত্বে গাফিলতি এবং অনৈতিক কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে তিনি নেমেছেন। তাঁর নেতৃত্বে একের পর এক নেতাকর্মীকে দল থেকে বহিষ্কার করা হচ্ছে, যা দলের শৃঙ্খলাকে আরও সুসংহত করছে।
দলীয় সূত্রে জানা গেছে, তিল্লি ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মো. মোতালেব হোসেনকে দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে বহিষ্কার করা হয়েছে। এর পর ২২ এপ্রিল প্রকাশিত প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে সাটুরিয়া সদর ইউনিয়ন শ্রমিক দলের সভাপতি মো. ফরহাদ মিয়া ও সাধারণ সম্পাদক মো. আনোয়ার হোসেনকেও তাদের দায়িত্বে গাফিলতি এবং অনৈতিক কর্মকাণ্ডের জন্য বহিষ্কার করা হয়।
এছাড়া, ২৭ এপ্রিল এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে ৮ নম্বর ওয়ার্ড যুবদলের সভাপতি মো. মোবারক হোসেনকে অবৈধ কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে যুবদল থেকে বহিষ্কার করা হয়। তার সঙ্গে সাংগঠনিক সম্পর্ক রাখার জন্য যুবদলের সকল পর্যায়ের নেতাকর্মীদের নির্দেশ দেয়া হয়েছে। বহিষ্কারের সিদ্ধান্তে স্বাক্ষর করেন যুবদল পৌর শাখার আহ্বায়ক রাজিব হাসান খান।
২৯ এপ্রিল মঙ্গলবার আরও এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে হরিরামপুর উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহ্বায়ক মো. হারুন মোল্লাকে একই ধরনের অভিযোগে বহিষ্কার করা হয়।
এর আগে, শিবালয় উপজেলার মহাদেবপুর ইউনিয়ন যুবদলের আহ্বায়ক মনিরুজ্জামান মনির জমি ও দোকান দখলের ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে গত ২০ আগস্ট বহিষ্কৃত হন। ৭ আগস্ট মানিকগঞ্জ জেলা কৃষক দলের আহ্বায়ক তোজাম্মেল হক তোজাকেও দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের কারণে বহিষ্কার করা হয়।
আফরোজা খান রিতা দলীয় নেতাকর্মীদের সতর্ক করে দিয়ে বলেছেন, “বিএনপি চাঁদাবাজদের আশ্রয়স্থল হতে পারে না। যারা ব্যক্তিস্বার্থে দলের নাম ব্যবহার করে অপকর্ম করবে, তাদের বিরুদ্ধে কঠোরতম ব্যবস্থা নেয়া হবে। সংগঠনকে আদর্শিক ও শৃঙ্খলিত করতে হলে অপরাধীদের দল থেকে নির্মূল করতে হবে।” তিনি আরও বলেন, “আচরণ, শৃঙ্খলা ও নীতির প্রশ্নে কোনো আপস নেই। সংগঠনের ভাবমূর্তি নষ্ট করার অধিকার কারও নেই।”
রিতার এই কঠোর পদক্ষেপ জেলা বিএনপির মধ্যে ইতোমধ্যেই শৃঙ্খলা বজায় রাখার এক দৃঢ় বার্তা পৌঁছেছে, যা দলীয় নেতাকর্মীসহ সংশ্লিষ্টদের মধ্যে স্বীকৃতি পাচ্ছে।