জাতীয়তাবাদী তাঁতীদল কেন্দ্রীয় কমিটির আহ্বায়ক আবুল কালাম আজাদ বলেছেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে অবিলম্বে জাতীয় নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণা করতে হবে। কারণ, এদেশ পরিচালনার দায়িত্ব নিতে হবে একটি নির্বাচিত সরকারকে। জনগণের ইচ্ছার প্রতিফলন ঘটিয়ে যেই সরকার গঠন হবে, তার হাতেই হস্তান্তর করতে হবে রাষ্ট্রের দায়িত্ব—এভাবেই দেশে গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠিত হবে।
শনিবার বিকেলে মানিকগঞ্জের শিবালয় উপজেলার রুপসা ওয়াহেদ আলী উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে উলাইল ইউনিয়ন তাঁতীদলের উদ্যোগে আয়োজিত “রাষ্ট্রকাঠামো নির্মাণে ৩১ দফা বাস্তবায়ন” বিষয়ক কর্মী সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি আরও বলেন, “আমাদের দাবি—অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে বিগত স্বৈরশাসন আমলে প্রণীত সব কালো আইন ও দেশের স্বার্থবিরোধী চুক্তি দ্রুত বাতিল করতে হবে। তা না হলে জনগণ গণআন্দোলনের মাধ্যমে তার প্রতিবাদ জানাবে।”
তাঁত শিল্পকে কেন্দ্র করে সম্ভাবনার কথা তুলে ধরে আবুল কালাম আজাদ বলেন, “কৃষক ও প্রবাসীদের মতো তাঁতিদের জন্যও ব্যাংক সুবিধা থাকা উচিত। বিএনপি যদি নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতায় আসে, তাহলে তাঁতিদের জন্য লোন ও পুনর্বাসনের ব্যবস্থা নিশ্চিত করা হবে।”
তাঁতীদলের শৃঙ্খলার বিষয়ে তিনি কড়া হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, “দলের কোনো সদস্য সন্ত্রাস বা চাঁদাবাজির সঙ্গে জড়িত থাকলে, গঠনতন্ত্র অনুযায়ী তাকে বহিষ্কার করা হবে।”
কর্মী সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় তাঁতীদলের সদস্য সচিব হাজী মজিবুর রহমান, যুগ্ম আহ্বায়ক আ. মতিন চৌধুরী, গোলাম মওলা খান বাবলু, জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য সত্যেন কান্তি পণ্ডিত ভজন, মানিকগঞ্জ জেলা তাঁতীদলের সভাপতি হাজী আব্দুস সাত্তার, সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট আব্দুর রাজ্জাক, শিবালয় উপজেলা বিএনপির সভাপতি রহমত আলী লাভলু বেপারী, উপজেলা তাঁতীদলের সভাপতি দিদারুল ইসলাম দিপু, সাধারণ সম্পাদক মো. আ. রশিদসহ তাঁতীদল এবং বিএনপির বিভিন্ন অঙ্গসংগঠনের নেতৃবৃন্দ।
এর আগে সকালে তাঁতীদলের নেতারা ইসরায়েলি হামলার নিন্দা জানিয়ে বর্বরোচিত হত্যাযজ্ঞের প্রতিবাদে এবং নির্যাতিত ফিলিস্তিনিদের প্রতি সংহতি প্রকাশ করে বিক্ষোভ ও র্যালি করেন। দুপুরে তাঁরা প্রয়াত বিএনপি নেতা হারুনুর রশিদ খান মুন্নু ও প্রয়াত মহাসচিব খন্দকার দেলোয়ার হোসেনের কবর জিয়ারত করে তাদের রূহের মাগফিরাত কামনা করেন।