দূর্ণীতির অভিযোগে ইউপি চেয়ারম্যান ও প্রশাসনিক কর্মকর্তাকে অপসারণ

মানিকগঞ্জে পৃথক দুটি ইউনিয়ন পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ও প্রশাসনিক কর্মকর্তাকে দুর্নীতি ও অনিয়মের অভিযোগে অপসারণ করা হয়েছে। জেলা প্রশাসক ড. মো. মানোয়ার হোসেন মোল্লা এবং স্থানীয় সরকার বিভাগের উপসচিব মো. নূরে আলম স্বাক্ষরিত পৃথক প্রজ্ঞাপন ও অফিস আদেশে এ সিদ্ধান্ত কার্যকর করা হয়।

অপসারিত দুই কর্মকর্তা হলেন—মানিকগঞ্জ সদর উপজেলার গড়পাড়া ইউনিয়ন পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মো. মাসুদ রানা এবং দৌলতপুর উপজেলার বাচামারা ইউনিয়ন পরিষদের প্রশাসনিক কর্মকর্তা আলমগীর হোসেন।

গত ১ সেপ্টেম্বর জারিকৃত প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, গড়পাড়া ইউনিয়নের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মো. মাসুদ রানার বিরুদ্ধে প্রকল্পের অর্থ আত্মসাৎসহ নানাবিধ অনিয়ম ও অপরাধমূলক কার্যক্রমের অভিযোগ প্রমাণিত হয়েছে। যা জনস্বার্থ ও ইউনিয়ন পরিষদের সুনামের পরিপন্থী। ফলে তাকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হয়েছে।

জানা গেছে, ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট গড়পাড়া ইউনিয়নের তৎকালীন চেয়ারম্যান আফছার উদ্দিন সরকার হঠাৎ গা-ঢাকা দিলে ২ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য দেওয়ান মো. মাসুদ রানাকে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব দেওয়া হয়। দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকেই তিনি দলীয় প্রভাব খাটিয়ে একক সিদ্ধান্তে পরিষদের কার্যক্রম পরিচালনা করেন। এতে পরিষদের সদস্যদের সঙ্গে তার দূরত্ব তৈরি হয়। পরে নয়জন ইউপি সদস্য সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) কাছে লিখিত অভিযোগ দেন। ইউএনও তিন সদস্যবিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করেন, এবং তদন্তে অভিযোগের সত্যতা মেলে।

অপরদিকে, জেলা প্রশাসকের স্বাক্ষরিত আদেশে বলা হয়, বাচামারা ইউনিয়নের প্রশাসনিক কর্মকর্তা আলমগীর হোসেন চরকাটারী ইউনিয়নের অতিরিক্ত দায়িত্ব পালনকালে যাচাই-বাছাই ছাড়াই ৭৯৫টি জন্ম নিবন্ধন সনদ অনলাইনে অবৈধভাবে ইস্যু করেন। যা পরিষ্কারভাবে চাকরির আচরণবিধি লঙ্ঘন এবং শাস্তিযোগ্য অপরাধ।

তদন্তে “দায়িত্ব পালনে অবহেলা”, “অসদাচরণ” এবং “অদক্ষতা”র অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হওয়ায় তাকে চাকরি থেকে অপসারণ করা হয়েছে।

নিউজটি শেয়ার করুন
Scroll to Top