ভারতের পাঞ্জাব রাজ্যের ফিরোজপুর সেনানিবাস এলাকায় পাকিস্তানের সঙ্গে ক্রমবর্ধমান উত্তেজনার মধ্যে ব্ল্যাকআউট মহড়া অনুষ্ঠিত হয়েছে। যুদ্ধের প্রস্তুতির অংশ হিসেবে গত ৪ মে, রাত ৯টা থেকে ৯টা ৩০ মিনিট পর্যন্ত আধঘণ্টার জন্য ওই এলাকায় সব ধরনের আলো বন্ধ রাখা হয়। ব্ল্যাকআউট মহড়ার উদ্দেশ্য ছিল যুদ্ধকালীন পরিস্থিতিতে বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্নকরণ এবং নিরাপত্তাব্যবস্থা নিশ্চিত করা।
ভারতের পাঞ্জাব স্টেট পাওয়ার করপোরেশন লিমিটেড (পিএসপিসিএল) এর মাধ্যমে বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্নকরণের জন্য প্রস্তুতি নেওয়া হয় এবং এ বিষয়ে স্থানীয় প্রশাসনও সহযোগিতা করে। ব্ল্যাকআউট মহড়ার সময়কালে বেসামরিক নাগরিকদের সচেতন করার জন্য মাইকসহ একটি ব্যাটারিচালিত রিকশা শহরের চারপাশে ঘুরে ঘোষণা দেয়। এই মহড়ার মূল উদ্দেশ্য ছিল যুদ্ধ পরিস্থিতিতে ব্ল্যাকআউট ব্যবস্থা কার্যকর করার প্রস্তুতি নেয়া।
পাকিস্তান, সম্ভাব্য হামলার আশঙ্কায়, সীমান্তের নিয়ন্ত্রণরেখা (এলওসি) বরাবর অরক্ষিত অঞ্চলে গমের আটা মজুত করতে শুরু করেছে। বিশেষ করে পাকিস্তানশাসিত আজাদ কাশ্মীরের খাদ্য দপ্তর কর্তৃক এ ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। আটা মজুতের পরিকল্পনা অনুযায়ী অন্তত দুই মাসের জন্য পর্যাপ্ত খাদ্য মজুত রাখা হবে, যাতে যেকোনো সামরিক হামলা বা গোলাবর্ষণের সময় সাধারণ মানুষ খাদ্য সংকটে না পড়েন।
ভারত-পাকিস্তান সম্পর্কের ইতিহাসের দিকে তাকালে, এটি সবসময়ই উত্তেজনাপূর্ণ ছিল। কাশ্মীরের ব্যাপারে দুই দেশই দাবি করছে, কিন্তু শাসন করে আংশিকভাবে। পেহেলগামে সন্ত্রাসী হামলার পর ভারতের প্রতিক্রিয়া তীব্র হয়েছে এবং পাকিস্তানও পাল্টা ব্যবস্থা নিয়েছে। বিশেষজ্ঞরা আশঙ্কা করছেন যে, এই পরিস্থিতি দুদেশকে আবারও যুদ্ধের দিকে ঠেলে দিতে পারে।
এই যুদ্ধের সম্ভাবনা কতটা বাস্তব, তা ভবিষ্যতের ওপর নির্ভর করবে। তবে বর্তমানে যা কিছু হচ্ছে, তা যুদ্ধের পূর্ব প্রস্তুতির অংশ মনে হচ্ছে।