প্রথম স্বামীকে তালাক না দিয়ে দ্বিতীয় স্বামীর সাথে সংসার করার অভিযোগে দম্পতিকে অবরুদ্ধ করে এলাকাবাসী। পরে পুলিশ তাদের উদ্ধার করে থানা হেফাজতে নেয়।
গতকাল (৩ মে) শনিবার সন্ধ্যায় মানিকগঞ্জ সদর উপজেলার উচুটিয়া এলাকায় এই ঘটনা ঘটে।
জানা গেছে, প্রেমের সম্পর্ক থেকে নয় বছরের দাম্পত্য জীবন প্রথম স্বামীর সাথে। ঘর আলো করে এসেছিল দুই কন্যা সন্তান। সেই মা পরকীয়ার প্রেমে জড়িয়ে দেড় বছর আগে সন্তানদের রেখে চলে আসেন প্রেমিকের হাত ধরে। স্ত্রীকে অনেকভাবে ফেরানোর চেষ্টা করেও তা সম্ভব হয়নি। সেই থেকে শিশু ২ মেয়ে বাবার কাছে বড় হচ্ছে।
দেড় বছর পর হঠাৎ নতুন স্বামীর সাথে স্ত্রীকে আকর্ষিক দেখে চমকে উঠে প্রথম স্বামী কাজী আক্কাস (৩৫)। পরে বিষয়টা তার পরিচিতজন এবং স্থানীয়দের জানালে সত্যতা যাচাইয়ের জন্য সেই দম্পতিকে জিজ্ঞাসা করলে প্রথম স্বামীর অভিযোগের সত্যতা পাওয়া যায়। পরে স্থানীয়রা পুলিশের খবর দিলে তাদের থানায় হেফাজতে নেওয়া হয়।
অভিযুক্ত নারী বন্যা শিকদার (২৫) মানিকগঞ্জ সদর উপজেলার জাগীর ইউনিয়নের চান্দি গোলড়ার এলাকার বাসিন্দা। অভিযুক্ত দ্বিতীয় স্বামী ইনসান হোসেন হৃদয় (২৮) ভোলা জেলার মধ্য জয়নগর এলাকার মো. নাসিরউদ্দিনের ছেলে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম থেকে পরিচয়ের মাধ্যমে প্রেমের সম্পর্কের শুরু হয় তাদের। এর আগে একই ছেলের সাথে দুইবার স্বামী ও দুই মেয়ে রেখে চলে যান বন্যা। পরে তার পরিবার সেখান থেকে তাকে ফিরিয়ে আনে।
প্রথম স্বামী কাজী আক্কাস সদর উপজেলার গড়পাড়া ইউনিয়নের তেঘুড়ি এলাকার মৃত কাজী হাশেমের ছেলে। তিনি পেশায় গাড়ির ইঞ্জিন মেকানিক।
প্রথম স্বামী কাজী আক্কাস অভিযোগ করে বলেন, “সে আমার সাথে সংসার করবে না, এটা না জানিয়ে অন্যের সাথে চলে গেছে। আমার পাঁচ ও সাত বছরের দুটি মেয়ে আজ মা থাকতেও মা ছাড়া। সে যাওয়ার সময় আমার দেওয়া দুই ভরি স্বর্ণালংকার ও আমার জমানো লাখ খানেক টাকা নিয়ে গেছে। এমন মা যেন কোনো পরিবারে না জন্মায়। আমি চাই এর সুষ্ঠু বিচার হোক। দেশবাসী দেখুক, সচেতন হোক।”
দ্বিতীয় স্বামী ইনসান হোসেন হৃদয় বলেন, “ইতোপূর্বে আমার স্ত্রীর বিয়ে হয়েছিল, বিষয়টা আমি জানতাম না। তার সাথে আমার মোবাইলে যোগাযোগের মাধ্যমে প্রেম হয়, তারপর আমরা বিয়ে করি। প্রেমের সম্পর্কের বিয়ে, তাই আমার পরিবার এখনো মেনে নেয়নি।”
এ বিষয়ে মানিকগঞ্জ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এস এম আমান উল্লাহ বলেন, “অভিযুক্ত নারী ও দ্বিতীয় স্বামীকে থানায় হেফাজতে রাখা হয়েছে। এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।”