জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম বলেছেন, আওয়ামী লীগের নিবন্ধন বাতিল এবং বিচারাধীন অবস্থায় দলটির রাজনৈতিক ও সাংগঠনিক কর্মকাণ্ড নিষিদ্ধ করা উচিত। তিনি শুক্রবার বিকেলে রাজধানী ঢাকার গুলিস্তানে জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমের দক্ষিণ ফটকে এক সমাবেশে এই দাবি জানান।
নাহিদ ইসলাম তার বক্তব্যে উল্লেখ করেন, “জুলাই গণঅভ্যুত্থান থেকে আজ পর্যন্ত, প্রায় ৯ মাস ধরে আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে বিচার ও নিষিদ্ধ করার দাবি নিয়ে আন্দোলন করতে হচ্ছে। এটা আমাদের সবার জন্য একটি সামষ্টিক ব্যর্থতা, যা জাতির কাছে আমাদের ব্যর্থতা হিসেবে পরিগণিত হবে।”
তিনি আরও বলেন, “আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এসে ২০০৯ সালে পিলখানা হত্যাকাণ্ডের মাধ্যমে দেশের সার্বভৌমত্বে বড় ধরনের আঘাত করেছে। ওই সময়ের ঘটনা এখনও দেশের জনগণের মনের মধ্যে ক্ষতের মতো রয়ে গেছে।”
নাহিদ ইসলামের এই বক্তব্য ছিল সরকারের বিরুদ্ধে কঠোর সমালোচনা, যেখানে তিনি দলটির কর্মকাণ্ডকে বাংলাদেশের রাজনৈতিক শান্তি এবং স্থিতিশীলতার জন্য বিপজ্জনক বলে অভিহিত করেন।
এনসিপি নেতার বক্তব্যের মধ্যে দিয়ে একটি শক্তিশালী রাজনৈতিক প্রতিরোধের প্রতিচ্ছবি ফুটে ওঠে, যা বর্তমানে বাংলাদেশের রাজনীতিতে বেশ আলোচিত ও গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। তার এই বক্তব্য দেশের বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের মধ্যে আলোড়ন সৃষ্টি করেছে এবং ভবিষ্যতের রাজনীতিতে এর প্রভাব পড়বে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।