পিলখানায় সেনাবাহিনীর ৫৭ জন কর্মকর্তাদের হত্যার বিচার দাবী

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর মানিকগঞ্জ জেলা শাখার উদ্যোগে দিন ব্যাপী সদস্য (রুকন) শিক্ষা শিবির অনুষ্ঠিত হয়েছে।

শনিবার (৫ই অক্টোবর) সকাল ৮ থেকে বিকেল ৩.৩০ মিনিট পর্যন্ত শহিদ তিতুমীর একাডেমির অডিটোরিয়ামে দিনব্যাপী রুকন সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। 

এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদের সদস্য অধ্যাপক মোহাম্মাদ ইজ্জত উল্লাহ।

সম্মেলনে মানিকগঞ্জ জেলা শাখার আমীর হাফেজ মো: কামরুল ইসলামের সভাপতিত্ব বিশেষ অতিথি ছিলেন ঢাকা উত্তর অঞ্চলের টিম সদস্য মো: আবুল হাশেম খান,মাওলানা দেলওয়ার হুসাইন,ছাত্র শিবিরের সাবেক কেন্দ্রীয় সভাপতি মু.জাহিদুর রহমান।

জেলা সেক্রেটারী মাওলানা নুরুল ইসলাম, পরিচালনায় এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন জেলা জামায়াতের অফিস সম্পাদক মাওলানা মোস্তফা,বায়তুলমাল সম্পাদক অধ্যাপক মনিরুল ইসলাম,শ্রমিক কল্যান ফেডারেশনের সভাপতি মো:আবু তাহের,তারাবিয়াত সেক্রেটারি মাওলানা ওমর ফারুক,এইচ আরডি সম্পাদক ইন্জিনিয়ার মোসলেহ উদ্দিন, এবং সকল থানার নেত্রীবৃন্দ। 

অধ্যাপক মুহাম্মদ ইজ্জত উল্লাহ বলেন, জামায়তের ১১ জন সর্বোচ্চ নেতাকে বিচারিকভাবে হত্যা করা হয়েছে। আমরা দেখতে চাই এই সমাজে তাদের বিচার হয়েছে। যারা রায় দিয়েছেন, মাস্টারমাইন্ড ছিলেন তাদের বিচার চাই। পিলখানায় পরিকল্পিতভাবে সেনাবাহিনীর ৫৭ জন কর্মকর্তাদের হত্যার বিচার চাই।

নেতারা বলেন, এ মাসেই ২০০৬ সালের ২৮ শে অক্টোবর পল্টন ময়দানে জামায়াত শিবিরের নেতাকর্মীদের হত্যা করে তাদের লাশের উপর নৃত্য করছে,শাপলা চত্বরে ২০১৪ সালের ৫ মে আলেম ওলেমাদের রাতের আঁধারে লাইট নিভিয়ে ব্রাশফায়ার করে হত্যা করা হয়েছে। তাদের অনেকের লাশও পাওয়া যায়নি।বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে যারা অপরাধের সাথে জরিত তাদের বিচার করতে হবে। বাংলাদেশে সব নাগরিক সমান অধিকার পাবে।বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী বৈষম্য মুক্ত ও কল্যাণময় রাস্ট্র গঠনের জন্য কাজ করে যাচ্ছে এ জন্য নিজের জ্ঞান বৃদ্ধির পাশাপাশি মাঠে ময়দানে নেতাকর্মীদের জনসাধারণের মাঝে সংগঠনের দাওয়াত পৌঁছানোর আহবান জানান।

সবখবর/ নিউজ ডেস্ক

নিউজটি শেয়ার করুন
Scroll to Top