ত্বক শরীরের সবচেয়ে বড় অঙ্গ। আর এই ত্বকের মাধ্যমে আপনি বুঝবেন শরীরে কোন রোগের বহির্প্রকাশ ঘটেছে।
ত্বকের লক্ষণেই বুঝা যাবে শরীরের মাঝে কি রোগ হয়েছে। আর শরীরের কোন সমস্যা বা জটিলরতা থাকলে ত্বকের উপর সেই প্রভাব পড়বেই। মুখে দাগছোপ, শুষ্ক ত্বক, র্যাশ, ব্রণ, চোখের নিচে কালি ও চোখে ফোলা ভাব এগুলো শারীরিক জটিলতার প্রভাব। আপনি ত্বকে যতই রুপচর্চা করেন তাতে কোন ফল আসবে না তবে দ্রুত ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী চিকিৎসা নেয়া উত্তম।
শরীরকে সুস্থ রাখতে হলে ত্বকের সমস্যা অনুযায়ী শরীরে কোন জটিলতা আছে কিনা সেই সম্পর্কে জানা উচিত।
প্রায়ই দেখা যায় নারী ও পুরুষ ব্রণের সমস্যায় ভুগে থাকেন। মুলত তৈলাক্ত ত্বকে ফুসকুড়ি, ব্রণ ও ব্রেকআউট থাকার কারনে ত্বকের ছিদ্র ব পোর্স বন্ধ হয়ে ব্রণের সংখ্যা বাড়তে থাকে। আবার বয়ঃসন্ধিকাল, মেনোপজ, পিরিয়ডের সমস্যা, হরমোনের ভারসাম্যহীনতা ও অস্বাস্থ্যকর খাদ্য ব্রণের সমস্যা দেখা যায়।
আরো পড়ুন: শিশুর শরীরে আয়রনের ঘাটতি বুঝবেন যেভাবে
অতিরিক্ত মানসিক চাপের ফলে ত্বকে অ্যান্ড্রোজেন হরমোন ক্ষরণ হয়ে থাকে। যে কারনে ত্বক তৈলাক্ত হয়ে ব্রন বেশি হতে দেখা যায়। একজিমা এমন একটি চর্মরোগ, যা ত্বকে শুষ্ক, চুলকানি ও অতিরিক্ত জ্বলন হতে পারে। এগুলো প্রচুর মানসিক রোগের কারনে হতে পারে। একজিমা হলে সহজে কিন্তু তা থেকে পরিত্রান পাওয়া যায় না।
ত্বকের বিভিন্ন জায়গায় সাদা আঁশের মতো খসখসে শুকনো অংশ বা ত্বকে লালচে হয়ে ফুলে গেলে বুঝবেন আপনার সোরিয়াসিস হয়েছে। এগুলো অটো ইমিউন ডিজঅর্ডারের কারনে হয়ে থাকে। কিছু কিছু অংশে আঁশের মত ছাল উঠতে দেখা যায়। সাধারনত উরু, পেট ও স্তনে এর লক্ষন দেখা যায়। যারা সাধারনত অতিরিক্ত মোটা এবং গর্ভবতী মহিলাদের ক্ষেত্রে এই সমস্যা বেশি দেখা যায়।
অনেকের ত্বককে আর্দ্র রাখার জন্য ক্রিম লাগালেও ত্বক শুষ্ক ও চুলকানি হয়। তাহলে বুঝবেন এটা এটোপিক ডার্মাটাইটিসের লক্ষন। এর কারনে ত্বকে অ্যালার্জির সাথে চুলকানি, হাঁপানি, হে ফিভার ও ত্বক ফেটে যেতে পারে।
ত্বককে ভালো রাখতে প্রতিদিন প্রচুর পরিমানে পানি পান করতে হবে। সকাল ও রাতে নিয়মিত মুখ পরিষ্কার করে যত্ন নিতে হবে। নিয়মিত ব্যায়াম ও সঠিকভাবে চলার মাধ্যমে ত্বককে স্বাস্থ্যকর ও উজ্জ্বল রাখতে হবে এবং মাঝে মাঝে পর্যাপ্ত পরিমানে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ভিটামিন খেতে হবে।
সবখবর/ নিউজ ডেস্ক