সরকারি ঔষধ ফ্যাষ্টরী এসেন্সিয়াল ড্রাগস মানিকগঞ্জে প্রতিষ্ঠিত করা, মানিকগঞ্জ বাসির প্রাণের দাবি। এই প্রতিষ্ঠানটি না করার সিন্ধান্তকারীদের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ ও বিক্ষোভ সমাবেশ ও ঢাকা বিভাগীয় কমিশনারের কাছে স্মারক লিপি দিয়েছেন। মানিকগঞ্জ বাসীর ব্যানারে ওই বিক্ষোভ সমাবেশ থেকে ৭২ ঘন্টার মধ্যে জেলা প্রশাসকের অপসারন না হলে জেলা প্রশাসকের কার্যালয় ঘেরাও কর্মসূচি ঘোষনা করা হয়।
রোববার দুপুরে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের পাশে মানিকগঞ্জ শহীদ স্মৃতি স্মৃতিস্তম্ভের পাদদেশে মানিকগঞ্জ বাসীর ব্যানারে বিক্ষোভ সমাবেশের আয়োজন করে আওয়ামীলীগ ও তার সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা।
সদর উপজেলার আওয়ামী-লীগের সভাপতি ও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ইসরাফিল হোসেন এর সভাপতিত্বে বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তব্য রাখেন জেলা আওয়ামী-লীগের সাবেক যুগ্ম-সাধারণ সাম্পাদক সুলতানুল আজম খান আপেল, সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক সুদেব কুমার সাহা, পৌর আওয়ামীলীগের সভাপতি আরশেদ আলী, সাধারণ সম্পাদক জাহিদুল ইসলাম জাহিদ, জেলা যুবলীগের আহ্বায়ক আব্দুল রজ্জাক রাজা, যুগ্ম আহ্ববায়ক মাহবুবুর রহমান জনি, স্বেচ্ছাসেবক-লীগের সভাপতি আবু বক্কর সিদ্দিক তুষার, সাধারণ সম্পাদক আবুল বাশার, জেলা শ্রমিকলীগের সভাপতি আব্দুল জলিল, জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি সিফাত কোরাইশী সুমন, সাধারণ সম্পাদক রাজিদুল ইসলাম , জাগীর ইউপি চেয়ারম্যান জাকির হোসেন, ধানকোড়া ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুর রউফ প্রমুখ।
ঢাকা বিভাগীয় কমিশনার বরাবর স্মারক লিপিতে জানা যায়, যারা মানিকগঞ্জের উন্নয়ন চান না তারা মিথ্য তথ্য দিয়ে পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশ করেছেন। সরকারি ওষধ ফ্যাক্টরী এসেন্সিয়াল ড্রাগস ইউসিএল প্রকল্পটি মানিকগঞ্জ থেকে অন্যত্র সরিয়ে নেওয়ার ষড়যন্ত্র করছে, আমার মানিকগঞ্জ বাসী সেই ষড়যন্ত্রকারীদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা চাই। জেলা প্রশাসক এ বিষয়ে কোনো কার্যকর ব্যবস্থা না নিয়ে বরং প্রকল্পটি যাতে না হয় সে জন্য অকার্যকর ব্যবস্থা গ্রহন করেন এবং উপর্যুপরি কোনো ব্যবস্থা না নেওয়ার জন্য উপরে চিঠি প্রেরণ করেন। স্বাস্থ্য মন্ত্রী জাহিদ মালেক স্বপনকে সকল কার্যক্রমে অসহযোগিতা করেছেন। এছাড়া বিভিন্ন অনিয়ম করেছেন জেলা প্রশাসক। আমার মানিকগঞ্জ বাসী এর সুষ্ঠ প্রতিকার চাই।
এছাড়া সঠিক সময় জমি অধিগ্রহন না করে জেলা প্রশাসক অধিক সময় বিলম্ব করেছেন। যার কারণে প্রকল্পের মূল্য ১০ % থেকে ২০% বৃদ্ধি পেয়েছে। যার ব্যয় শত কোটি টাকার মতো হবে। এটা সরকারের উন্নয়নের রাজস্ব খাতে চাপ পড়বে।যা জেলা প্রশাসকের দুর্ণীতির সামিল। এসব কারণে জেলা প্রশাসকের অপসারন করা প্রয়োজন।
স্মারক লিপিতে স্বাক্ষর করেছেন পৌর মেয়র রমজান আলী,জেলা আওয়ামীলীগের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সুলতানুল আজম খান, জেলা আওয়ামীলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক সুদেব সাহা, সদর উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি ইসরাফিল হোসেন, সাধারণ সম্পাদক আফসার উদ্দিন সরকার, পৌর আওয়ামীলীগের সভাপতি আরশেদ আলী বিশ্বাস, সাধারণ সম্পাদক জাহিদুল ইসলাম, জেলা যুবলীগের আহবায়ক আব্দুর রাজ্জাক রাজা, যুগ্ম আহবায়ক মাহাবুবুর রহমান জনি, জেলা শ্রমিকলীগের সভাপতি আব্দুল জলিল, সাধারণ সম্পাদক হানিফ আলী,জেলা স্বেচ্ছা সেবকলীগের সভাপতি আবু বক্কর সিদ্দিক তুষার, সদর উপজেলা মহিলালীগের সভাপতি সালমা আক্তার, সাধারণ সম্পাদক মরিয়ম বেগম, জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি সিফাত কুরাইশী সুমন, সাধারণ সম্পাদক রাজিদুল ইসলাম ।
এব্যাপারে জেলা প্রশাসক মুহাম্মদ আব্দুল লতিফ কোনো মন্তব্য করতে রাজি হয়নি।
সবখবর/ নিউজ ডেস্ক