হলি আর্টিজানে শহিদ এসি রবিউলের নবম মৃত্যুবার্ষিকী পালন

হলি আর্টিজানে জঙ্গি হামলায় শহিদ এসি রবিউল করিমের নবম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে মানিকগঞ্জের কাটিগ্রামে শোক র‌্যালি ও স্মরণসভার আয়োজন করা হয়।

শনিবার সকালে নজরুল বিদ্যাসিঁড়ি স্কুল চত্বর থেকে শোক র‌্যালি শুরু হয়ে শহিদের কবরস্থানে গিয়ে শেষ হয়। পরে তাঁর কবরে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ করে শ্রদ্ধা জানানো হয়।

পরে ব্লুমস বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে স্মরণসভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে রবিউল করিমের সহধর্মিনী উম্মে সালমা, ছোট ভাই শামসুজ্জামান শামসসহ বিভিন্ন গণমাণ্য ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন।

রবিউল করিমের সহধর্মিনী উম্মে সালমা বলেন, তাঁর স্বামীর গড়া বিশেষায়িত শিশুদের স্কুল ব্লুমসের পাশে বৃদ্ধাশ্রম প্রতিষ্ঠার ইচ্ছে ছিলো। তবে তাঁর সেই স্বপ্ন বাস্তবায়ন করা যায়নি। এ জন্য তিনি সমাজের বিত্তবানদের এগিয়ে আসার আহ্বান জানান।

রবিউলের ছোটভাই শামসুজ্জামান বলেন, জিম্মি উদ্ধার অভিযানে দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে তাঁর শহিদ হয়েছিলেন। তাঁর কোনো রাজনৈতিক বা দলীয় পরিচয় ছিলো না। তবুও ৫ আগস্টের পর রবিউল করিম ও গুলশান থানার তৎকালীণ ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সালাউদ্দিনে স্মৃতিস্তম্ভকে ভেঙে ফেলা হয়েছে, যা দুঃখজনক।

তিনি আরও বলেন, হোলি আর্টিজান বেকারিসহ বিভিন্ন সময়ে দেশ ও মানুষের জন্য আত্মত্যাগকারী শহিদের সম্মান রক্ষার বিষয়টি রাষ্ট্রকে নিশ্চিত করতে হবে। তাঁদের অপূর্ণ স্বপ্ন বাস্তবায়নে এ গিয়ে আসতে হবে। এ সকল ঘটনায় জড়িত প্রকৃত অপরাধীদের শাস্তি নিশ্চিত করা না হলে শহিদদের অসম্মান করার পাশাপাশি তাঁদের পরিবারকে ঝুঁকির মধ্যে ফেলে রাখা হবে। বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে শহিদ পরিবারের সদস্যদের নিরাপত্তার বিষয়টি রাষ্ট্রকে নিশ্চিত করতে হবে।

এ দিকে বিকেল চারটার দিকে মানিকগঞ্জের পুলিশ লাইনসে রবিউল করিম ফটকের পাশে নির্মিত রবিউল করিমের ম্যুরালে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন রবিউলের পরিবারের সদস্যরা।

উল্লেখ্য, ২০১৬ সালের ১ জুলাই গুলশানের হলি আর্টিজানে দায়িত্ব পালনকালে জঙ্গি হামলায় শহিদ হন এসি রবিউল করিম।

সবখবর/ নিউজ ডেস্ক

নিউজটি শেয়ার করুন
Scroll to Top