সাটুরিয়ায় ভয়ভীতি প্রদর্শন করে জমি দখলের চেষ্টা

মানিকগঞ্জের সাটুরিয়া উপজেলার উত্তর ছনকা গ্রামে ভুয়া দলিল করে জমি হাতিয়ে নেয়ার পায়তারার অভিযোগ উঠেছে একটি সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে। ওই গ্রামের মৃত কিতাব আলীর সন্তানদের ৬১ শতাংশ জমি দখলের চেষ্টা চালাচ্ছে ওই সিন্ডিকেট।

জানা গেছে, উত্তর ছনকা গ্রামের কিতাব আলী তার স্ত্রী ছকিনাকে ১৯৮৬ সালের ২৯ জুলাই ৬১ শতাংশ জমি লিখে দেন। পরে ছকিনা বেগম সেই সম্পত্তি তার তিন ছেলে মজিবর রহমান, হাফিজুর রহমান ও মাহফুজুর রহমানকে দলিল করে দেন। জমির মালিক কিতাব আলী জীবিত থাকাবস্থায় স্থানীয় আবুল হোসেন গং ৬১ শতাংশ জমি বর্গাচাষ করতেন যা পরবর্তীতে আব্দুল মজিদ মেম্বারগংদের সাথে মিলে মালিকানা সম্পত্তি বলে দাবি করেন। তবে, দুই বা একাধিক পক্ষের মধ্যে জমির মালিকানা নিয়ে মতবিরোধ এবং আইনগতভাবে জমি দাবি করার অভিযোগ উঠেছে।

এবিষয়ে ভুক্তভোগী মজিবর রহমান জানান, আমাদের ৬১ শতাংশ জমি জোরপূর্বক দখল করার চেষ্টা করছে স্থানীয় আবুল হোসেন, আব্দুল মজিদ (মেম্বার),মজিবর মাস্টার, ছাদেক আলী ও আনোয়ার হোসেনগংসহ মোট ২৩ জন। আমার পিতার অনুপস্থিতে ১৯৮৬ সালের আগষ্টের ৭ তারিখে আবুল হোসেনগংসহ ভুয়া দলিল করেন এবং পরবর্তীতে আব্দুল মজিদ মেম্বারগংসহ মোট ২৩ জনের নামে ভুয়া দলিল করেন। জমি সংক্রান্ত বিষয়ে ইউনিয়ন পরিষদ ও থানায় একাধিকবার বসার কথা থাকলেও নানা টালবাহানায় সমাধান করেননি তারা। উল্টো তাদের পক্ষে, স্থানীয় উপজেলা বিএনপি নেতা আনোয়ার হোসেন এবছর জানুয়ারির ৭ তারিখে ৫০ হাজার টাকার বিনিময়ে আমাদের জমি সংক্রান্ত বিষয়ে সমাধান করার কথা বলেন। আমরা তা দিতে অস্বীকার করায়, তিনি জানুয়ারির ৯ তারিখে বাড়িতে এসে ভয়ভীতি প্রদর্শন এবং ৭ ফেব্রুয়ারি সকালে আমাদের দখলে থাকা জমির বেড়া বিপক্ষদের সাথে নিয়ে ভেঙ্গে নিয়ে যান। আমি প্রশাসনসহ সকলের কাছে আমাদের ওয়ারিশান জমি ফিরে পেতে সহযোগিতা কামনা করছি।

আরেক ভুক্তভোগী হাফিজুর রহমান জানান, আমরা দুই ভাই বাড়িতে থাকি না বড়ভাই মজিবর রহমান থাকে। তাকে একা পেয়ে আমাদের বিপক্ষদের থেকে আর্থিক সুবিধা নিয়ে নানা ভয়ভীতি প্রদর্শন করছে বিএনপি নেতা আনোয়ার হোসেন। আবার শুনতাছি জমিতে যে ফসল বুনেছি তা আবুল হোসেনগংরা কেটে নিয়ে যাবে। একাধিকবার জমির বেড়া দেয়া হয়েছে প্রতিবারই তাড়া ভেঙ্গে দেয়।

এলাকার কয়েকজন বাসিন্দা জানান, আমরা কিতাব আলীর জমি হিসেবে এই জায়গাকে চিনি। তবে তাদের জমি নিয়ে অনেকদিন ধরে বিরোধ চলছে। তার ছেলেদের জমিতে দেয়া বেড়া আবুল হোসেন ও মজিদ মেম্বাররা ভেঙ্গে নিয়ে গেছে। যেকোন সময় বড় ধরনের দূর্ঘটনা ঘটতে পারে। আমরা এই জমি সংক্রান্ত বিষয়ে সুন্দর একটা সমাধান চাই।

আব্দুল মজিদ মেম্বারের সাথে দেখা করার কথা বললে তিনি দেখা করতে রাজি হননি, তবে মোবাইল ফোনে বলেন, আমরা ওই জমি কিতাব আলীর কাছ থেকে কিনে নিয়েছি। এখন তার সন্তানরা নানা টালবাহানা শুরু করছে। বেড়া ভাঙগার বিষয় তিনি অস্বীকার করেন।

 এ বিষয়ে স্থানীয় বিএনপি নেতা আনোয়ার হোসেন জানান, তিনি কোন চাঁদা দাবী করেননি।   

নিউজটি শেয়ার করুন
Scroll to Top