মানিকগঞ্জের যমুনা নদীতে শখের বসে জাল ফেলেছিলেন শিবালয়ের দাসকান্দি গ্রামের বাসিন্দা ইব্রাহিম মোল্লা। মাছ ধরার উদ্দেশ্য ছিল চিংড়ি বা ছোট মাছ সংগ্রহ। কিন্তু ভাগ্য যেন ছিল অন্যরকম। তার জালে ধরা পড়ে প্রায় ৩০ কেজি ওজনের বিশালাকৃতির একটি বাগাড় মাছ। যা তিনি পরদিন ভোরে ৩২ হাজার টাকায় বিক্রি করেন।
ইব্রাহিম পাটুরিয়া ঘাট এলাকায় ঝালমুড়ি বিক্রি করে জীবিকা চালান। প্রতিদিন কাজ শেষে নদীতে সময় কাটাতে যান। সোমবার বিকেলেও তিনি খইয়া জাল নিয়ে যমুনায় নামেন। কিছু ছোট মাছ ধরার পর শেষবারের মতো জাল ফেলতেই অনুভব করেন, জালে বড় কিছু আটকে গেছে। জাল টেনে তীরে আনলে দেখা যায়, বিশাল এক বাগাড় মাছ ধরা পড়েছে।
মাছ বিক্রির বিষয়ে ইব্রাহিম জানান, “বাড়িতে এনে ওজন করি, প্রায় ৩০ কেজি হয়। এত বড় মাছ ধরবো ভাবিনি। সকালে আরিচা আড়তে নিয়ে যাই। এক আড়তদার ৩২ হাজার টাকা দেয়, সাথে সাথেই বিক্রি করে দেই।”
এ সময় আশপাশের অনেকে মাছটি দেখতে ভিড় করেন। ইব্রাহিম জানান, জীবনে এই প্রথম এত বড় মাছ ধরেছেন, তাও আবার শখের জালে।
স্থানীয়দের মতে, যমুনা ও পদ্মা নদীর মিলনস্থলে চলতি মৌসুমে বড় বড় বাগাড় মাছ প্রায়ই জেলেদের জালে ধরা পড়ছে। মানিকগঞ্জ ছাড়াও রাজবাড়ী, পাবনা, ফরিদপুর এবং ঢাকার দোহার, নবাবগঞ্জ থেকেও জেলেরা এখানে মাছ ধরতে আসছেন।
তবে জেলা মৎস্য দপ্তর জানিয়েছে, বাগাড় মাছ এখন প্রায় বিলুপ্তপ্রায় প্রজাতির তালিকায় রয়েছে। এই মাছ ধরা আইনত নিষিদ্ধ হলেও অনেক সময় জেলেরা তা না জেনে ধরছেন। এ বিষয়ে জেলেদের সচেতন করতে প্রশাসন ও সংশ্লিষ্ট বিভাগ পদক্ষেপ নিচ্ছে।