মানিকগঞ্জ-২ আসনকে ঘিরে রাজনৈতিক অঙ্গনে জমতে শুরু করেছে নানা আলোচনা। বিএনপি, জামায়াত ও অন্যান্য দল সক্রিয় হলেও বিএনপির সম্ভাব্য প্রার্থীদের মধ্যে যিনি সাম্প্রতিক সময়ে বিশেষভাবে নজরে এসেছেন তিনি হলেন মাজাহারুল ইসলাম খান পায়েল। ইতিমধ্যে তিনি নির্বাচনী আসনে ব্যাপক গণসংযোগ শুরু করেছেন।
শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে মাজাহারুল ইসলাম খান পায়েল ১৯৯৬ সালে ছাত্রদলে যোগ দেন। প্রায় তিন দশকের রাজনৈতিক জীবনে তিনি হামলা-মামলা ও দমন-পীড়নের শিকার হয়েছেন। তিনি সিংগাইর উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সাবেক সদস্য এবং সাবেক জেলা বিএনপির সদস্য ছিলেন। বর্তমানে তিনি জাতীয়তাবাদী সামাজিক সাংস্কৃতিক সংস্থা (জাসাস)-এর কেন্দ্রীয় আহ্বায়ক কমিটির সদস্য এবং বরিশাল বিভাগের সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।
৫ আগস্টের আগে, কোটা সংষ্কার আন্দোলনে ও সরকার পতনে প্রত্যক্ষভাবে অংশগ্রহন, দলের কর্মসূচিতে নিয়মিত অংশগ্রহণ, আন্দোলন-সংগ্রামে মাঠের নেতাকর্মীদের সংগঠিত রাখা এবং তৃণমূলে সক্রিয়তা তাকে আসনের সম্ভাব্য প্রার্থী হিসেবে আলোচনায় এনেছে। তিনি শুধু রাজনীতিতে সীমাবদ্ধ নন; শিক্ষা, সংস্কৃতি ও ক্রীড়াক্ষেত্রেও তার সম্পৃক্ততা রয়েছে। স্থানীয়ভাবে তিনি সহজ-সরল ব্যবহার ও আন্তরিকতার জন্য পরিচিত। ইউনিয়ন ও উপজেলা পর্যায়ে ধারাবাহিক উঠান বৈঠক ও জনসংযোগে সক্রিয় রয়েছেন তিনি। সামাজিক অনুষ্ঠান, ধর্মীয় আয়োজন ও সাধারণ মানুষের দুঃখ-দুর্দশায় পাশে দাঁড়িয়ে তিনি জনপ্রিয়তা অর্জন করেছেন।
স্থানীয়রা মনে করেন, সহজ-সরল ব্যবহার ও আন্তরিকতায় মাজাহারুল ইসলাম খান পায়েল আলাদা পরিচিতি গড়ে তুলেছেন। বিশেষ করে তরুণ ভোটারদের মধ্যে তিনি জনপ্রিয়। রাজনৈতিক কর্মসূচির পাশাপাশি সমাজসেবামূলক কর্মকান্ডে সম্পৃক্ত থাকার কারণে অনেকে তাকে “মাঠের মানুষ” হিসেবেই চেনেন।
বিএনপি থেকে মানিকগঞ্জ-২ আসনে একাধিক নেতার নাম শোনা গেলেও তৃণমূলে সক্রিয়তা, সাংগঠনিক দক্ষতা ও সামাজিক গ্রহণযোগ্যতার কারণে মাজাহারুল ইসলাম খান পায়েল এগিয়ে রয়েছেন। তিনি তারেক রহমান ঘোষিত ৩১ দফা বাস্তবায়নে তৃণমূলে প্রচারণা চালাচ্ছেন এবং সাধারণ ভোটারদের ব্যাপক সাড়া পাচ্ছেন।
বিভিন্ন সামাজিক কর্মকান্ডে অংশগ্রহণ করে আসন্ন নির্বাচনে মনোনয়ন দৌড়ে শক্ত অবস্থান নিয়েছেন মাজাহারুল ইসলাম খান পায়েল।
তিনি জানান, যুবসমাজের প্রথম ভোট যেন ধানের শীষের হয়, সেই লক্ষ্যেই প্রচারণা চালাচ্ছেন। আমি দেশনায়ক তারেক রহমানের ৩১ দফা বাস্তবায়ন নিয়ে সাধারন জনগনের দ্বারপ্রান্তে যাচ্ছি এবং বিপুল পরিমানে সাড়া পাচ্ছি। আমাকে বিএনপি থেকে মনোনয়ন দিলে জনগনের প্রত্যাশা পূরন করতে তিনটি বিষয় নিয়ে কাজ করব। প্রথমত, আর্থসামাজিক ও অর্থনৈতিক উন্নয়নে কৃষকের পাশে উন্নয়ন বিপ্লব ঘটানো দ্বিতীয়ত, নদীভাঙ্গন রোধে স্থায়ী বেড়িবাঁধ নির্মান, মাদকমুক্ত সমাজ গঠন ও চাঁদাবাজ মুক্ত করা তৃতীয়ত,ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্ট বাস্তবায়ন করে সুপেয় পানির ব্যবস্থা করে মানিকগঞ্জ-২ আসনকে মডেল আসনে রুপান্তর করতে চাই।
দীর্ঘদিন সরকারি দমন-পীড়নে মাঠে সীমিত থাকা বিএনপি এখন নতুন নেতৃত্বের উত্থানে সরব হচ্ছে। এই প্রেক্ষাপটে তরুণ প্রজন্মের কাছে গ্রহণযোগ্যতা ও তৃণমূলের সংগঠনশক্তি নিয়ে মাজাহারুল ইসলাম খান পায়েল মানিকগঞ্জ-২ আসনে বিএনপির সম্ভাব্য প্রার্থীদের তালিকায় গুরুত্বপূর্ণ অবস্থান দখল করেছেন।