মানদণ্ডের বিচারে বর্তমানে নির্বাচন, বিশেষ করে জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে অনেক অভিযোগ ও বিতর্ক রয়েছে। ২০১৪ ও ২০১৮ সালের জাতীয় সংসদের নির্বাচনের পর নির্বাচন ব্যবস্থার ওপর মানুষ আস্থা ও বিশ্বাস হারিয়েছে। গণতন্ত্র ও সুশাসন প্রতিষ্ঠা করতে গেলে নাগরিকদের হারানো আস্থা ফিরিয়ে আনতে হবে। আর এই আস্থা ফেরানোর জন্য প্রয়োজন একটি অংশগ্রহণমূলক, প্রতিযোগিতামূলক, অবাধ, নিরপেক্ষ ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন। অর্থবহ নির্বাচনের মাধ্যমেই মানুষের মধ্যে আস্থা ফিরিয়ে আনতে হবে।
আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে মানিকগঞ্জে সুশাসনের জন্য নাগরিকের (সুজন) জেলা কমিটি আয়োজিত মানববন্ধন কর্মসূচিতে বক্তারা এসব কথা বলেন। মানিকগঞ্জ প্রেসক্লাব প্রাঙ্গণে ভোটার দিবস উপলক্ষে এই কর্মসূচির আয়োজন করা হয়।
সুজনের জেলা কমিটির সহসভাপতি ইকবাল হোসেনের সভাপতিত্বে কর্মসূচিতে আরও বক্তব্য দেন বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি) জেলা কমিটির সভাপতি অধ্যাপক আবুল ইসলাম শিকদার, কনজ্যুমার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক এ বি এম সামছুন্নবী তুলিপ, সুজনের জেলা কমিটির যুগ্ম সম্পাদক বিলকিস রেজা পরাগ, প্রচার সম্পাদক আকরাম হোসেন, নির্বাহী সদস্য ফিরোজা সরকার, হরিরামপুর শাখার আহবায়ক মাসুদুর রহমান, উন্নয়নকর্মী নজরুল ইসলাম এবং স্বেচ্চাসেবী সংগঠন দিশারী’র সভাপতি হাসান শিকদার প্রমুখ।
কর্মসূচিতে লিখিত বক্তব্য উপস্থাপন করেন সুজনের জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম বিশ্বাস। এতে বলা হয়, গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার প্রথম ও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ধাপ হচ্ছে নির্বাচন। আর এই নির্বাচনে ভোটাধিকার প্রয়োগের মধ্য দিয়ে রাষ্ট্রের নাগরিকেরা প্রতিনিধি নির্বাচনের মাধ্যমে রাষ্ট্র ও স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানসমূহ পরিচালনায় ভূমিকা রাখেন। কিন্তু বাংলাদেশের বিরাজমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি একটি প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের জন্য সহায়ক নয়। সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য একটি নির্বাচনের জন্য প্রয়োজনে রাজনৈতিক দলগুলো মধ্যে পারস্পরিক সমঝোতা স্মারক সাক্ষর করা। রাজনৈতিক দলগুলো আলাপ-আলোচনার মধ্য দিয়েই সমঝোতার জন্য গুরুত্বপূর্ণ বিষয়সমূহ এবং সমঝোতাসমূহ নির্ধারণ করবেন।
সুজনের জেলা কমিটির সহসভাপতি ইকবাল হোসেন বলেন, সব দলের অংশগ্রহণমূলক নিরপেক্ষ নির্বাচন সাধারণ মানুষের প্রত্যাশা। দেশের সাধারণ জনগণের আকাঙ্ক্ষা সুষ্ঠু নির্বাচনের মধ্য দিয়ে একটি গণতান্ত্রিক সমাজ বিনির্মাণ। এ ক্ষেত্রে নির্বাচন কমিশনকে নিরপেক্ষতা বজায় রেখে রাজনৈতিক দলগুলোর আস্থা অর্জন করতে হবে।