মানিকগঞ্জের সিংগাইরে ১০ বছরের এক মাদ্রাসার ছাত্রীকে শ্লীলতাহানী ও ধর্ষণ চেস্টার মামলায় হাফেজ মাওলানা মো: জাহাঙ্গীর আলমকে (৪৫) কারাগারে পাঠিয়েছে আদালত।
সোমবার রাতে তাকে গ্রেপ্তার করে সিংগাইর থানা পুলিশ।
গ্রেপ্তার জাহাঙ্গীর আলম শায়েস্তা ইউনিয়নের শ্যামনগর গ্রামের মৃত কফিল উদ্দিনের ছেলে। তিনি উপজেলার লক্ষ্মীপুর হযরত ফাতেমা বিনতে মুহাম্মদ (সঃ) বালিকা মাদ্রাসা ও এতিমখানার অধ্যক্ষ।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, মাদ্রসার প্রথম শ্রেণির এক আবাসিক শিক্ষার্থীকে গত মঙ্গলবার রাতে অধ্যক্ষ জাহাঙ্গীর আলম মাদ্রাসার অফিস কক্ষের পাশের একটি রুমে নিয়ে যায়। ওই শিক্ষার্থীর পায়জামা ছিড়ে শরীরের স্পর্শকাতর স্থানে হাত দেয়। এর পর ধর্ষণের চেস্টা করে। রক্ত বের হলে শিশুটি কান্নাকাটি করার পর তাকে ছেড়ে দেয়। ওই শিশুটি গত শনিবার বাড়িতে গিয়ে ঘটনাটি অভিভাবকদের বলে দেয়। এই ঘটনায় শিশুটি পিতা বাদী হয়ে রোববার থানায় মামলা করেন।
সিংগাইর থানার অফিসার ইনজার্চ (ওসি) তৌফিক আজম বলেন , জাহাঙ্গীর আলম একজন হাফেজ মাওলানা এবং খেলাফত মজলিসের সিংগাইর থানা (পূর্ব) শাখার সাধারণ সম্পাদক। ইতিপূর্বেও তিনি এমন ঘটনা ঘটিয়েছেন। তাকে গ্রেফতার করে আদালতে পাঠানো হয়েছে। আদালত তার জামিন নামঞ্জুর করে জেল হাজতে পাঠানো নিদের্শ দিয়েছেন।