বসতবাড়ির সীমানাসংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে মানিকগঞ্জ পৌর এলাকায় প্রতিপক্ষের হামলায় শংকর শীল (৬৮) নামের বৃদ্ধ নিহত হয়েছেন বলে অভিযোগ ওঠেছে। গতকাল রোববার সকালে পৌর এলাকার নবগ্রাম শীলপাড়া গ্রামে এই ঘটনা ঘটে। এই ঘটনায় তিনজনকে আটক করেছে পুলিশ।
নিহত শংকর শীল ওই গ্রামের প্রয়াত বিশ্বনাথ শীলের ছেলে। তিনি নরসুন্দরের কাজ করতেন।
পুলিশ, স্থানীয় এবং পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, নবগ্রাম শীলপাড়া গ্রামে শংকর শীলের চাচাতো ভাই সীতানাথ শীলের ছেলে সত্য শীল, কার্তিক শীল, গোপাল শীল ও গণেশ শীল। বসতবাড়ির সীমানা নিয়ে শংকরের সঙ্গে সত্য, কার্তিক, গোপাল ও গণেশের বিরোধ চলে আসছিল। এ নিয়ে মাঝেমধ্যেই তাঁদের মধ্যে ঝগড়া হতো। গতকাল সকালে বসতবাড়ির সীমানা পরিমাপ করার দিন ধার্য ছিল। জমি পরিমাপক (সার্ভেয়ার) উপস্থিত না হওয়ায় জমির পরিমাপ হয়নি। সকাল ১০টার দিকে এই বিরোধ নিয়ে আবারও দুইপক্ষের মধ্যে ঝগড়া হয়। একপর্যায়ে দুইপক্ষের মধ্যে মারামারির ঘটনা ঘটে। এ সময় সংকর শীল মাটিতে পড়ে গিয়ে মাথায় আঘাত পেয়ে অচেতন হয়ে পড়েন।
মানিকগঞ্জ পৌরসভার ২ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর ছানোয়ার রহমান বলেন, বসতবাড়ির সীমানা নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে দুই পরিবারের মধ্যে বিরোধ চলছিল। দুইপক্ষের মারামারির সময় মাটিতে পড়ে গিয়ে শংকর শীল মাথায় আঘাত পান। পরে জেলা সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন। পরে লাশ বাড়িতে আনা হয়। খবর পেয়ে দুপুরে বাড়ি থেকে নিহত শংকের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ ময়নাতদন্তের জন্য জেলা সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠায়।
সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুর রউফ সরকার বলেন, এই ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য কার্তিক শীল, তাঁর ছেলে কৃষ্ণ শীল ও কার্তিকের ভাই গণে শীলকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছে। এ ঘটনায় নিহত ব্যক্তির ছেলে পংকজ শীল বাদি হয়ে থানায় হত্যা মামলা প্রস্তুতি নিচ্ছেন বলে তিনি জানান।
সবখবর/ নিউজ ডেস্ক