বাংলাদেশে মাশরুম চাষ সহজ এবং লাভজনক একটি কৃষি উদ্যোগ হতে পারে। এটি এমন একটি ব্যবসা যা কম খরচে, স্বল্প সময়ে এবং কম জায়গায় চাষ করা সম্ভব। মাশরুম চাষের জন্য কোনো বড় জমির প্রয়োজন নেই, ফলে শহর কিংবা গ্রামের যে কোনো জায়গায় এটি চাষ করা যেতে পারে। মাশরুম চাষের মাধ্যমে চাষীরা ভালো আয় করতে পারেন, বিশেষ করে যারা ছোট জমি বা অব্যবহৃত জায়গা ব্যবহার করতে চান, তাদের জন্য এটি একটি উপযুক্ত ক্ষেত্র।
মাশরুম চাষের জন্য যে উপকরণ প্রয়োজন, তা সহজেই পাওয়া যায়। মাশরুম চাষের জন্য মূলত স্পন বা বীজ ব্যবহার করতে হয়। সরকারী মাশরুম ইনস্টিটিউট বা বেসরকারি ফার্ম থেকে এই স্পন সংগ্রহ করা সম্ভব। তবে লাভের পরিমাণ বাড়ানোর জন্য অনেকেই নিজে বীজ উৎপাদন করে থাকেন। বীজ উৎপাদন করা যায় ধানের খড়, কাঠের গুঁড়া বা গমের ভুসি ব্যবহার করে, যা অত্যন্ত সস্তা এবং সহজলভ্য। মাশরুম উন্নয়ন ইনস্টিটিউট থেকেও এই বিষয়ক প্রশিক্ষণ নেওয়া যায়।
আরো পড়ুন: শাহজাহানের কৃষিকাজে সফলতা ও সন্তানের স্বপ্ন
মাশরুম চাষের একটি বড় সুবিধা হলো এর জন্য কোনো আবাদি জমির প্রয়োজন হয় না। তাই যারা শহরে বা ছোট জায়গায় বসবাস করেন, তারা ঘরের পাশে অব্যবহৃত জায়গা বা বারান্দায় মাশরুম চাষ করতে পারেন। মাশরুমের স্পন প্যাকেট পাস্তুরাইজেশন পদ্ধতিতে ১০-১৫ দিনের মধ্যে পরিপূর্ণ হয় এবং মাত্র ৩-৭ দিনের মধ্যে ফলন পাওয়া যায়। ফলে কম সময়ে বেশি লাভ আয় করা সম্ভব।
এছাড়া, মাশরুম চাষের বাজারও বেশ ভালো। বাংলাদেশের শহরগুলোর হোটেল, সুপারশপ এবং রেস্টুরেন্টগুলোতে মাশরুমের চাহিদা রয়েছে। কাঁচাবাজার, মুদি দোকান, এবং ফ্রাইশপেও মাশরুম বিক্রি করা সম্ভব। শুকানো মাশরুম বিদেশেও রপ্তানি করা যেতে পারে, যার মাধ্যমে আরও বেশি আয় করা সম্ভব। মাশরুম হাটের মাধ্যমে বিক্রির সুযোগ বৃদ্ধি পাচ্ছে, যা চাষীদের জন্য নতুন বাজার সৃষ্টি করছে।
অতএব, মাশরুম চাষ সহজ এবং লাভজনক হতে পারে, যা কৃষকদের জন্য একটি লাভজনক ব্যবসায়িক ক্ষেত্র গড়ে তুলতে সাহায্য করবে। এটি বাংলাদেশের কৃষি খাতে নতুন দিগন্ত উন্মোচন করতে সক্ষম।
সবখবর/ নিউজ ডেস্ক