ইসলাম একটি পূর্ণাঙ্গ জীবনবিধান, যা মানুষের দৈনন্দিন জীবনযাপন থেকে শুরু করে বন্ধুত্বের মতো সম্পর্কেও নির্দেশনা প্রদান করেছে। বন্ধুর প্রভাব জীবনে গুরুত্বপূর্ণ, তাই কোরআন ও হাদিসে বন্ধুত্বের বিষয়ে বিশেষ দিকনির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। সঠিক বন্ধু নির্বাচন দুনিয়া ও আখিরাতের সফলতার জন্য অপরিহার্য।
ঈমানদার বন্ধু নির্বাচন: পবিত্র কোরআনে বলা হয়েছে, ঈমানদাররা একে অপরের বন্ধু। তারা একে অন্যকে ভালো কাজে উৎসাহিত করে এবং মন্দ কাজ থেকে বিরত রাখে। একজন সৎ বন্ধু জীবনের প্রতিটি পদে আল্লাহর আদেশ পালন এবং নামাজ ও জাকাতের মতো ফরজ ইবাদতে অনুপ্রাণিত করে।
রসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, মুমিন ছাড়া অন্য কাউকে সঙ্গী বানিও না। এটি স্পষ্ট করে যে, বন্ধুত্ব শুধু তাদের সঙ্গেই হতে পারে যারা দ্বীনদার এবং আল্লাহর পথে চলতে অনুপ্রাণিত করে।
আরো পড়ুন: যে কৌশলে জমাবেন টাকা
অপরিচিত ও বিদ্বেষপূর্ণ ব্যক্তির সঙ্গ এড়িয়ে চলা: আল্লাহ তাআলা নির্দেশ দিয়েছেন, পরিচিত ও বিশ্বস্ত ঈমানদারদের ছাড়া অন্য কাউকে অন্তরঙ্গ বন্ধু বানানো উচিত নয়। যারা মুসলিমদের ক্ষতি করার চেষ্টা করে বা হিংসা-বিদ্বেষ পোষণ করে, তাদের থেকে দূরে থাকাই শ্রেয়। মুসলিমদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রকারীদের সঙ্গ শুধু ব্যক্তিগত নয়, সামষ্টিকভাবেও ক্ষতির কারণ হতে পারে।
সত্যবাদী ও সৎ বন্ধুর গুরুত্ব: সত্যবাদী, দীনদার এবং পরোপকারী ব্যক্তিকে বন্ধু বানানো উচিত। সুরা কাহাফে বলা হয়েছে, এমন ব্যক্তিদের সঙ্গে বন্ধুত্ব স্থাপন করুন যারা আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের জন্য কাজ করে।
আরো পড়ুন: ধনী হওয়ার সহজ ৫টি উপায়
হজরত ইমাম গাজালি (রহ.) বলেছেন, বন্ধুত্বের জন্য বুদ্ধিমান, সৎ এবং পাপমুক্ত ব্যক্তির নির্বাচন আবশ্যক। মিথ্যাবাদী, পাপী বা দুনিয়াসক্ত ব্যক্তিদের সঙ্গ জীবনকে ধ্বংসের পথে নিয়ে যায়।
পরোপকারী ও বিবেকবান বন্ধুর সঙ্গ: একজন বিবেকবান বন্ধু আপনাকে ভালো পরামর্শ দিতে পারে এবং ভুল থেকে ফিরিয়ে রাখতে সক্ষম। এমন বন্ধুত্ব সার্থক, যেখানে স্বার্থহীনতা রয়েছে।
ইসলামে বন্ধুত্ব আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য হওয়া উচিত। সৎ, পরোপকারী এবং সত্যবাদী বন্ধু জীবনের পথকে সহজ এবং আলোকিত করে। তাই বন্ধুত্বের ক্ষেত্রে সতর্ক থেকে আল্লাহর নির্দেশিত পথে চলা উচিত। একটি ভালো বন্ধু জীবনের মোড় ঘুরিয়ে দিতে পারে এবং দুনিয়া ও আখিরাতে কল্যাণ বয়ে আনে।
সবখবর/ নিউজ ডেস্ক