মানিকগঞ্জের পুলিশ বাহিনীতে ট্রেইনি রিক্রুট কনস্টেবল (টিআরসি) পদের পরীক্ষায় অন্য ব্যক্তিকে দিয়ে প্রক্সি দেওয়ার অভিযোগে তিন পরীক্ষার্থীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় সদর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. শফিকুল আজম লিটন বাদী হয়ে একটি মামলা দায়ের করেন।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন, দৌলতপুর উপজেলার তালুকনগর এলাকার মো. শামীম খান (১৯), মো. ইসমাইল খান (১৮) এবং মো. নাজমুল হোসেন (১৮)। তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তারা বাংলাদেশ পুলিশ বাহিনীর লিখিত পরীক্ষায় প্রক্সি ব্যবহার করে উত্তীর্ণ হয়েছে।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, গত ২২ নভেম্বর বাংলাদেশ পুলিশ বাহিনীর ট্রেইনি রিক্রুট কনস্টেবল (টিআরসি) পদে লিখিত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়া প্রার্থীদের জন্য গত ২৯ নভেম্বর মৌখিক পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয় মানিকগঞ্জ পুলিশ লাইনসে। এ সময় নিয়োগ বোর্ডের সদস্যরা গ্রেপ্তারকৃত তিন প্রার্থীকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে, তাদের কথাবার্তা অসামঞ্জস্যপূর্ণ হওয়ায় বিষয়টি সন্দেহজনক মনে হয়। এরপর নিবিড় তদন্তের মাধ্যমে তারা স্বীকার করে যে, লিখিত পরীক্ষায় অন্য কেউ প্রক্সি দিয়েছে।
আরো পড়ুন: শীতকালে শিশুর ত্বকের যত্ন
পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে, শামীম খান ১০ লাখ টাকার চুক্তি করেন মো. নজরুল ইসলামের সাথে এবং ২০ হাজার টাকা অগ্রিম দেন, ইসমাইল খান ৫০ হাজার টাকা অগ্রিম দিয়ে একই ব্যক্তির সাথে ১০ লাখ টাকার চুক্তি করেন, আর নাজমুল হোসেন ১৬ লাখ টাকার চুক্তি করেন নজরুল ও সাইফুল ইসলামের সঙ্গে এবং ২০ হাজার টাকা অগ্রিম দেন।
এ ঘটনায় আসামি শামীম, ইসমাইল ও নাজমুলের লিখিত পরীক্ষা ছিল অজ্ঞাত ব্যক্তিদের মাধ্যমে। চূড়ান্ত উত্তীর্ণ হওয়ার পর তারা চুক্তি অনুযায়ী সমস্ত টাকা দেওয়ার কথা ছিল।
মানিকগঞ্জ সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) এস এম আমান উল্লাহ বলেন, “নিয়োগ বোর্ডের সদস্যের একটি অভিযোগের পর পুলিশ দ্রুত ব্যবস্থা নিয়েছে। মামলার অন্যান্য আসামিদের গ্রেপ্তারের জন্য পুলিশ কাজ করছে।”
সবখবর/ নিউজ ডেস্ক