মানিকগঞ্জে পৃথক দুই মামলায় সাবেক সংসদ সদস্য ও কণ্ঠশিল্পী মমতাজ বেগমকে ৬ দিনের রিমান্ড দিয়েছে আদালত।
আজ বেলা ১১ টার দিকে চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে হাজির করা হয়।
এসময় আদালত চত্তরে মমতাজের শাস্তির দাবীতে বিএনপির নেতাকর্মীরা বিক্ষোভ করে ও পিজনভ্যানে তোলার সময় মমতাজের উপর ডিম নিক্ষেপ করে।
আজ বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে আটটায় গাজিপুর জেলার কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে পুলিশের প্রিজন ভ্যান যোগে মমতাজ বেগমকে আদালতের আনা হয়।
আজ সকাল এগারটায় মানিকগঞ্জ চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্টেট আদালতের ৩ এর বিচারক আইভি আক্তারের আদালতে হরিরামপুরে থানায় ভাংচুর ও মারামারি মামলায় পাঁচ দিনের রিমান্ড শুনানী হয়। এসময় আসামি মমতাজের পক্ষে কোনো আইনজীবী ছিলো না। শুনানী শেষে আদালতের বিচারক দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
এর পর সকাল সাড়ে এগরাটায় সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালত-১ বিচারক মুহম্মদ আব্দুন নূর এর আদালতে ২০১৩ সালে সিঙ্গাইর উপজেলার গোবিন্দল এলাকায় হরতালের সমর্থনে মিছিলে পুলিশের গুলিতে চারজন নিহতর মামলায় সাত দিনের রিমান্ড শুনানী হয়। এতে আদালতের বিচারক আসামি মমতাজ বেগমকে চার দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
আসামি মমতাজ বেগমকে আদালতে উঠানোর সময় বিএনপি পন্থি আইনজীবী ও নেতাকর্মীরা তাঁর শাস্তি দাবীতে বিক্ষোভ করেন। এসময় পুলিশের সাথে নেতাকর্মীদের ধাক্কাধাক্কি ঘটনা ঘটে।
পুলিশের কঠোর নিরাপত্তা মধ্যে রিমান্ড শুনানী শেষে পিজনভ্যানে তুলার সময় আসামি মমতাজ বেগমের উপর বিএনপির নেতাকর্মীরা ডিম ও জুতা নিক্ষেপ করে।
কোর্ট ওসি আবুল খায়ের জানান, ২০১৩ সালে সিঙ্গাইর উপজেলার গোবিন্দল এলাকায় হরতালের সমর্থনে মিছিলে পুলিশের গুলিতে চারজন নিহত হন। এ ঘটনায় মমতাজ বেগমকে তিন নম্বর আসামি করে ২০২৪ সালে ২৫ অক্টোবর উপজেলার গোবিন্দল গ্রামের মো. মজনু মোল্লা বাদী হয়ে সিঙ্গাইর থানায় একটি হত্যা মামলা করেন। এর পর তাঁর নির্বাচনী এলাকা হরিরামপুর থানায় হামলা, মারধর ও ভাঙচুরের অভিযোগে আরেকটি মামলা রয়েছে। গত ২৯ অক্টোবর হরিরামপুর উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মো. দেলোয়ার হোসেন মামলাটি দাযের করেন।
ওসি আরো জানান, আজ বৃহস্পতিবার পৃথক দুটি আদালতে রিমান্ড শুনানী হয়। এতে একটি আদালতে দুই দিন ও অন্য আদালতে চার দিনের রিমান্ড মঞ্জুর হয়। আসামিকে গাজীপুর কাশিমপুর কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
এর আগে ঢাকায় বেশ কিছু থানায় দায়ের করা হত্যা মামলায় মমতাজ বেগম চার দিনের রিমান্ডে ছিলেন। রিমান্ড শেষে মমতাজ বেগমকে কাশিমপুর কারাগারে রাখা হয়েছিল।