২০০০ সালে মানিকগঞ্জ থেকে ঢাকায় আসেন কামরুদ্দিন বাদল। ২০ বছরের বেশি সময় ধরে তিনি ঢাকার একটি প্রাইভেট ফার্মে চাকরি করেন বাদল।
মোহাম্মদপুরে পরিবার নিয়ে একটি ভাড়া বাসায় তিনি থাকেন। এতদিন ধরে রাজধানীতে থাকলেও একটি নিজের বাড়ি বানাতে পারেননি তিনি। সরকারের বিভিন্ন আবাসন প্রকল্প থাকলেও সহজলভ্য না হওয়ায় আবাসনের ব্যবস্থা হয়নি তার।
জানা গেছে, গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের হিসাব অনুযায়ি ঢাকায় বসবাসকারী প্রায় এক কোটি মানুষের নেই কোন নিজস্ব বাসস্থান। বিপুল এই জনগোষ্ঠিকে থাকতে হচ্ছে ভাড়া বাসায়। এর মধ্যে সরকারি জায়গায় বস্তিবাসী হয়ে আছেন অনেকে। এ ছাড়া নিম্ন ও মধ্যবিত্তদের অধিকাংশেরই নেই নিজস্ব কোনো বাসস্থান।
বিভিন্ন দেশের সরকার স্বল্প সুদে কম আয়ের মানুষের জন্য আবাসনের জন্য ঋণ প্রদান করে থাকলেও আমাদের দেশে নানা জটিলতার কারণে সেই সুবিধা পাচ্ছেনা সাধারণ মানুষ।
সরকারের বিভিন্ন আবাসন প্রকল্প থাকলেও সরকারি কর্মকর্তাসহ সম্পদশালীরাই এর সুবিধাভোগী হচ্ছেন। সুবিধা পাচ্ছেন না বাস্তুহারা, দরিদ্র, নিম্নবিত্ত ও নিম্নমধ্যবিত্তরা। তবে বাস্তুহারা মানুষের জন্য রয়েছে প্রধানমন্ত্রীর আশ্রয়ণ প্রকল্প।
২০১৮ সালে রিহ্যাবের এক গবেষণায় দেখা গেছে, ডেভেলপার প্রতিষ্ঠানের ১ হাজার বর্গফুটের একটি অ্যাপার্টমেন্ট কেনার জন্য প্রায় ৯৫ হাজার টাকা আয়ের প্রয়োজন হয় একটি পরিবারের। এ রকম আয় সাধারণত মধ্যবিত্ত ও নিম্ন মধ্যবিত্তদের হয়ে থাকেনা।
ঢাকা শহরে মাত্র ৫ শতাংশ মানুষ উচ্চবিত্ত, অন্যদিকে মধ্যবিত্ত ৪৫ শতাংশ এবং বাকি ৫০ শতাংশ মানুষই নিম্নবিত্ত শ্রেণির অন্তর্ভুক্ত। এর মধ্যে বেশির ভাগ মানুষ আবাসনের চাহিদা পূরণ করে ভাড়া বাসায় আশ্রয় নিয়ে থাকে বলে জানিয়েছে পাওয়ার অ্যান্ড পার্টিসিপেশন রিসার্চ সেন্টারের (পিপিআরসি)।
সবখবর/ নিউজ ডেস্ক