চাঁদাবাজিসহ গুরুত্বপূর্ণ বিভিন্ন ফাইল সরিয়ে নেয়ার সময় ছাত্রদের হাতে আটক হয়েছে জেলা পরিবহন মালিক সমিতির সভাপতি জাহিদুল ইসলাম জাহিদের ভাগ্নে পরিচয়দানকারী এক যুবক।
আজ বেলা ১২ টার দিকে মানিকগঞ্জ বাসস্ট্যান্ড এলাকা থেকে তাকে আটক করে সেনাবাহিনীর কাছে তুলে দেয়া হয়েছে।
আটক ওই যুবকের নাম মামুন মিয়া। তার বাড়ি সদর উপজেলার জাগির ইউনিয়নের ঢাকুলি গ্রামে।
শিক্ষার্থীরা জানিয়েছেন, দুপুরে বাসস্ট্যান্ডে অবস্থিত জাহিদ টাওয়ারে পরিবহন সমিতির অফিস থেকে মামুন কয়েক বস্তা ফাইলপত্র একটি অটোবাইকে করে সরিয়ে নিয়ে যাচ্ছিল। বিষয়টি সন্দেহজনক হওয়ায় রাস্তায় ট্রাফিকিং এর দায়িত্বে থাকা রবিউল, মীর এহসান, মেহেদী, মিশুক, আতিকুর রহমান, নুর মোহাম্মদসহ কয়েকজন ছাত্র তাকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করে। ওই সময় মামুন মিথ্যার আশ্রয় নিয়ে এলোমেলো কথা বলতে থাকে। পরে ছাত্ররা তাকে সেনাবাহিনীর ক্যাম্পে নিয়ে যায়। পরে মামুন জাহিদের ভাগ্নে পরিচয় দিয়ে জানায় জাহিদই তাকে ওই সমস্ত ফাইলপত্র বাসায় পৌছে দিতে বলেছে।
শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করে বলেন, দীর্ঘ দিন ধরে পরিবহন সেক্টরে চাঁদাবাজির বিভিন্ন নথি ছিল ওই ফাইলপত্রে। সেগুলোকে গায়েব করার জন্যই কৌশলে মামুনকে দিয়ে সরিয়ে নেয়ার চেষ্টা করেন জাহিদ।
তবে, মোবাইল ফোন বন্ধ থাকায় জাহিদের বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।
এব্যাপারে মানিকগঞ্জের দায়িত্বে থাকা সেনাবাহিনীর মুখপাত্র জানান, বেশকিছু কাগজ ও ফাইলসহ ওই যুবক আমাদের হেফাজতে রয়েছে। আমরা দ্রুতই তাকে থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করব।
প্রসঙ্গত, মানিকগঞ্জ বাসস্ট্যান্ড এলাকায় জাহিদ টাওয়ারে ছিল জেলা পরিবহন মালিক সমিতির অফিস। সমিতির সভাপতি ছিলেন পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জাহিদুল ইসলাম জাহিদ। আওয়ামী লীগ সরকারের সময় তিনি পরিবহন সেক্টরে থেকে ব্যাপক চাঁদাবাজির সাথে জড়িত ছিলেন। সরকার পদত্যাগের পর তিনি পলাতক রয়েছেন।