মানিকগঞ্জ পৌর এলাকায় আপন খালাকে হত্যার অভিযোগে ভাগ্নে আলমগীর হোসেনকে (২৮) গ্রেপ্তার করেছে সদর থানা পুলিশ।
বৃহস্পতিবার রাত আড়াইটার দিকে অভিযুক্ত আসামীকে জেলার ঘিওর উপজেলার জাবরা গ্রাম থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। এর আগে রাত ১২ টার দিকে নিহত হারুনী বেগমের ছেলে সুমন মিয়া থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন।
গ্রেপ্তার আলমগীর পৌর এলাকার বড়াই গ্রামের মৃত আব্দুল মালেকের ছেলে।
পুলিশ, পারিবারিক এবং স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, স্বামীর সঙ্গে বিবাহবিচ্ছেদের পর হারুনী বেগম ছেলে সুমন মিয়া ও মেয়ে সুমি আক্তারকে নিয়ে বড়াই গ্রামে বাবার বাড়িতে থাকতেন। এ দিকে স্বামী মারা যাওয়ার পর ছেলে আলমগীর হোসেনকে নিয়ে হারুনীর বড় বোন বিমলা বেগমও বাবার বাড়িতে চলে আসেন। তাঁরা বাবার বাড়িতে পৃথক ঘরে বসবাস করে আসছিলেন। তবে বাড়িতে প্রবেশের রাস্তা নিয়ে মাঝেমধ্যে দুই বোন বিমলা ও হারুনীর মধ্যে ঝগড়া হতো।
গতকাল বৃহস্পতিবার সকাল ১০টার দিকে রাস্তা নিয়ে ঝগড়ার একপর্যায়ে ভাগ্নে আলমগীর ইট দিয়ে তাঁর খালা হারুনীর মাথায় আঘাত করেন। এতে গুরুতর আহত অবস্থায় তাঁকে উদ্ধার করে মানিকগঞ্জ কর্নেল মালেক মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান স্থানীয় লোকজন। তবে শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে দায়িত্বরত চিকিৎসক হারুনীকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তরের পরামর্শ দেন। পরে ঢাকায় নেয়ার পথে তার মৃত্যু হয়।
মানিকগঞ্জ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আব্দুর রউফ সরকার জানান, মামলা রজুর আড়াই ঘন্টার মধ্যে পুলিশ সুপার গোলাম আজাদ খানের সার্বিক দিক নির্দেশনায় মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পুলিশ পরিদর্শক কহিনুর মিয়া, সদর থানার সেকেন্ড অফিসার এসআই টুটুল উদ্দিন ও এএসআই ইমরান তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহার করে আসামীকে গ্রেপ্তার করে। আসামী প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে হত্যাকান্ডের কথা স্বীকার করেছেন। তাকে আদালতে পাঠানো হয়েছে।
সবখবর/ নিউজ ডেস্ক