বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় গাজীপুরে কাশিমপুর হাই সিকিউরিটি কারাগার থেকে পালিয়ে যাওয়া মো. আবদুল মতিন (৩৭) নামের এক মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব।
আজ রোববার দুপুরে ঢাকার বংশাল এলাকা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়। আজ বিকেলে র্যাব-৪ এর সিপিসি-৩ এর মানিকগঞ্জ ক্যাম্পের কমান্ডার লেফটেন্যান্ট কমান্ডার মো. আরিফ হোসেন এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
গ্রেপ্তার মতিন ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার ভাটপাড়া গ্রামের আবদুর হক হাওলাদারের ছেলে। গত ৬ আগস্ট বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় কাশিমপুর কারাগার থেকে আন্যান্য আসামির সঙ্গে তিনি পালিয়ে যান।
র্যাব জানায়, ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার আমতলী বাজারে নিরাপত্তা প্রহরীর কাজ করতেন জয়নাল মিয়া (৫৫)। ২০১৪ সালের ১৪ জুলাই রাত সাড়ে ১১টার দিকে মতিন ও তাঁর তিন থেকে চারজন সহযোগী ওই বাজারে জনৈক সেলিম মিয়ার দোকানে চুরি করার উদ্দেশ্যে দোকানের ঝাপ খোলার চেষ্টা করেন। এ সময় এতে বাধা দিলে মতিন ও তাঁর সহযোগীরা ছুরি দিয়ে জয়নাল মিয়াকে গলাকেটে হত্যা করেন।
এ ঘটনায় পরের দিন নিহত জয়নালের ছেলে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর থানায় একটি হত্যা মামলা করেন। দীর্ঘ বিচারিক প্রক্রিয়া শেষে ২০১৮ সালের ১৭ অক্টোবর ব্রাহ্মণবাড়িয়ার একটি আদালত মতিনকে মৃত্যুদণ্ডাদেশ দেন। পরে তাঁকের কাশিমপুর হাইসিকিউরিটি কারাগারে পাঠানো হয়। গত ৬ আগস্ট বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় কাশিমপুর কারাগার থেকে তিনি পালিয়ে আত্মগোপন করেন।
র্যাব-৪ এর সিপিসি-৩ এর মানিকগঞ্জ ক্যাম্পের কমান্ডার লেফটেন্যান্ট কমান্ডার মো. আরিফ হোসেন বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে এবং তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় আজ রোববার বংশাল থানা এলাকা থেকে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত ওই মতিনকে গ্রেপ্তার করা হয়। আইনগত প্রক্রিয়া শেষে আজ বিকেলে তাঁকে গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের কোনাবাড়ি থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
সবখবর/ নিউজ ডেস্ক