আচরণবিধি লঙ্ঘন করায় মানিকগঞ্জ-১ (ঘিওর-দৌলতপুর-শিবালয়) আসনের দুই প্রার্থীকে জরিমানা করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। শনিবার দুপুরে মানিকগঞ্জের দৌলতপুর উপজেলায় এই জরিমানা করেন ভ্রাম্যমাণ আদালতের বিচারক ও উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. ফয়েজ উদ্দিন আহমেদ।
প্রশাসন ও ভ্রাম্যামাণ আদালত-সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, আজ সকালে দৌলতপুরের বিভিন্ন এলাকায় নির্বাচনী পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণে যায় উপজেলা প্রশাসন। বেলা ১১ টার দিকে উপজেলার সমেতপুর এলাকায় আওয়ামী লীগের স্বতন্ত্র প্রার্থী সালাউদ্দিন মাহমুদের (ঈগল প্রতীক) কয়েকজন কর্মী তিন থেকে চারটি মোটরসাইকেলে করে শোডাউন করছিলেন। এ সময় মোটরসাইকেলে নির্বাচনী পোস্টার লাগানো হয়। এ ছাড়া স্বতন্ত্র প্রার্থীর কর্মীদের পরিহিত টি-শার্টে প্রার্থীর ছবিসম্বলিত ভোট চেয়ে বিভিন্ন লেখা ছিল। খবর পেয়ে আসনটির নির্বাচনী আচরণবিধি প্রতিপালনের দায়িত্বপ্রাপ্ত নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ফয়েজ উদ্দিন আহমেদ ঘটনাস্থলে গিয়ে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে স্বতন্ত্র প্রার্থীর কর্মী জুয়েল রানাকে ২ হাজার টাকা জরিমানা করেন।
এ দিকে আজ বেলা ১১ টার দিকে উপজেলার সদরে দৌলতপুর পাইলট উচ্চবিদ্যালয় মাঠে বিশেষ বর্ধিত সভার আয়োজন করে উপজেলা আওয়ামী লীগ। তবে মূলত বর্ধিত সভার নামে ১৪ দলীয় জোটের প্রার্থী জাতীয় পার্টির (জাপা) সভাপতি মণ্ডলীর সদস্য জহিরুল আলমের (লাঙ্গল প্রতীক) নির্বাচনী জনসভার আয়োজন করা হয়। সভায় আগত লোকজনের জন্য প্রায় ২ হাজার লোকের খাবারের জন্য খিচুড়ি রান্না করা হয়। খবর পেয়ে আজ বেলা একটার দিকে নির্বাচনী আচরণবিধি প্রতিপালনের দায়িত্বপ্রাপ্ত নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ফয়েজ উদ্দিন আহমেদ সভাস্থলে যান। এ সময় ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে খিচুড়ি জব্দ এবং জাপার প্রার্থীর কর্মী আবদুল জলিলকে ১০ হাজার টাকা জরিমান করা হয়। এসব অভিযানে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) সদস্যরা সহায়তা করেন
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ফয়েজ উদ্দিন আহমেদ বলেন, জব্দ করা খিচুড়ি স্থানীয় এতিমখানায় দুস্থ শিশুদের মাঝে বিতরণ করা হয়েছে। আচরণবিধি মেনে সকল প্রার্থী ও তাঁদের কর্মীদের নির্বাচনী প্রচার-প্রচারণা চালাতে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।