অনিন্দ সুন্দরী চিত্রনায়িকা পূর্ণিমা, তিনি বাংলাদেশের চলচ্চিত্র জগতে অন্যতম জনপ্রিয় ও সফল অভিনেত্রী। ১৯৯৭ সালে তার ক্যারিয়ার শুরু হয় এবং তখন থেকেই তিনি অভিনয়ে তার জায়গা তৈরি করেন। তার মিষ্টি হাসি, প্রাকৃতিক সৌন্দর্য এবং সাবলীল অভিনয় দর্শকদের কাছে তাকে বিশেষভাবে পরিচিত করে তোলে। সিনেমায় তার নানান রোমান্টিক চরিত্র দর্শকদের হৃদয় ছুঁয়ে যায়, এবং তার অভিনয় দক্ষতা প্রতিটি সিনেমায় প্রমাণিত হয়েছে।
পূর্ণিমার প্রথম হিট ছবি ছিল “এমনও একটি গল্প” যা তাকে এক রাতেই জনপ্রিয় করে তোলে। এরপর “স্বপ্নের রাজকুমার”, “নবাব” এবং “মনের মাঝে তুমি” ছবিগুলো তাকে সাফল্যের শীর্ষে পৌঁছাতে সাহায্য করে। তার অভিনীত চরিত্রগুলো এমনভাবে দর্শকদের কাছে পৌঁছায়, যা তাকে অনন্য স্থান দিয়েছে বাংলাদেশের চলচ্চিত্র জগতে।
পূর্ণিমা শুধুমাত্র একজন অভিনেত্রীই নয়, তিনি একজন সফল মডেল এবং ফ্যাশন আইকনও। তার স্টাইল এবং ব্যক্তিত্ব সব সময়ই শিরোনামে থাকত। তবে তার ব্যক্তিগত জীবনেও রয়েছে বেশ কিছু গল্প। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগ থেকে পড়াশোনা শেষ করেছেন। তার পড়াশোনা এবং কর্মজীবনকে খুব সজাগভাবে সামাল দিয়েছেন, এবং চলচ্চিত্রের পাশাপাশি ব্যক্তিগত জীবনেও ব্যালান্স বজায় রেখেছেন।
আরো পড়ুন: নীলদুনিয়ার বাইরে সানি লিওন
পূর্ণিমা ২০১০ সালে তার প্রথম বিয়ে করেন ব্যবসায়ী আমিনুল ইসলাম রাজিবের সঙ্গে। তবে তাদের সম্পর্ক ২০১৮ সালে শেষ হয় এবং তারা বিবাহবিচ্ছেদ করেন। এরপর ২০২০ সালে তিনি তার দ্বিতীয় বিয়ে করেন, তবে দ্বিতীয় স্বামীর পরিচয় সম্পর্কে খুব বেশি তথ্য জানা যায়নি। তার প্রথম বিয়ে এবং বিবাহবিচ্ছেদ ব্যাপক আলোচনায় ছিল, কিন্তু তার ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে তিনি খুবই গোপনীয় ছিলেন।
আরো পড়ুন: তানজিন তিশার অজানা গল্প
পূর্ণিমা তার পরিবারকে অনেক ভালোবাসেন এবং সামাজিক মাধ্যমে তার পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে অনেক সময় কাটানোর মুহূর্ত শেয়ার করেন। তিনি বিশ্বাস করেন, “পারিবারিক জীবনই সবকিছু, কাজের চাপ থাকা সত্ত্বেও পরিবারের সঙ্গে সময় কাটানো খুব গুরুত্বপূর্ণ।”
পূর্ণিমা একজন আদর্শ মা এবং স্ত্রী। তিনি তার সংসারের শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বজায় রাখার জন্য চেষ্টা করেন, এবং তার পরিবারকে সমর্থন ও ভালোবাসা দিয়ে গড়ে তোলেন।
অনিন্দ সুন্দরী চিত্রনায়িকা পূর্ণিমা তার অভিনয় এবং ব্যক্তিগত জীবনের মাধ্যমে একজন শক্তিশালী নারী চরিত্রের প্রতীক হয়ে উঠেছেন। তার পরিশ্রম, সংগ্রাম এবং পরিপূর্ণ জীবনশৈলী তাকে বাংলার চলচ্চিত্রে অমর করে রেখেছে।