rab

১৪ বছর পালিয়ে থাকার পর র‌্যাবের হাতে ধরা নাসির

চাঞ্চল্যকর ফজলু হত্যা মামলায় ১৪ বছর পালিয়ে থাকার পর মানিকগঞ্জে র‌্যাবের হাতে গ্রেপ্তার হয়েছেন নাসির উদ্দিন (৩২) নামের এক যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামী।

মঙ্গলবার দুপুরে জেলার সাটুরিয়া উপজেলার জান্না বাজার এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।

গ্রেপ্তার নাসির মানিকগঞ্জ সদর উপজেলার চর দিঘলিয়া গ্রামের হাকিম আলীর ছেলে। অপর দিকে নিহত ফজলু শেখ ঘিওর উপজেলার সিংজুরী গ্রামের ফুলচান শেখের ছেলে।

র‌্যাব জানায়, নিহত ফজলু শেখের সাথে আসামী নাসিরের বন্ধুত্বপূর্ণ সর্ম্পক ছিল। নিহত ফজলু বিভিন্ন এলাকায় মোটরসাইকেল ভাড়ায় চালিয়ে জীবিকা নির্বাহ করতো। সাটুরিয়া থানার গোলড়া গ্রামের রিতা নামের এক যুবতির সাথে তাদের দুজনের সখ্যতা ছিল। রিতার সাথে প্রেমের সর্ম্পক নিয়ে দুজনের সাথে বিরোধের সৃষ্টি হয়। ওই বিরোধের জের ধরে ২০০৯ সালের ১৯ ডিসেম্বর রাতে নাসির কৌশলে ফজলুকে নিয়ে বেউথা কালীগঙ্গা নদীর পাড়ে নিয়ে যায়। সেখানে গিয়ে নাসির ফজুলকে হাত-পা বেঁধে শ্বাসরোধে হত্যা করে।

র‌্যাব-৪ সিপিসি-৩ এর ল্যাফটেন্যান্ট কমান্ডার মোহাম্মদ আরিফ হোসেন জানান, হত্যাকান্ডের পর দিন নদীর পাড় থেকে পুলিশ অজ্ঞাতনামা একটি মরদেহ উদ্ধার করে। সুরতহাল শেষে সদর থানার এসআই সাইফুল ইসলাম বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা কয়েকজনকে আসামী করে একটি  মামলা দায়ের করেন। পরবর্তীতে পুলিশের তদন্তে অজ্ঞাতনামা মরদেহ সনাক্ত হয় এবং হত্যার রহস্য উদঘাটন হয়। ওই ঘটনায় পুলিশ নাসিরকে গ্রেপ্তার করে আদালতে প্রেরণ করে। পরে নাসির জামিনে মুক্তি পেয়ে আত্মগোপনে চলে যায়। কিছুদিন পর পুলিশ নাসিরসহ আরো তিনজনকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশীট দাখিল করে। আদালত সাক্ষ্য প্রমাণ শেষে নাসিরকে যাবজ্জীবন সাজা প্রদান করেন। পাশাপাশি আদালত অপর দুই আসামীকে মামলা থেকে অব্যাহতি দেন।

আরিফ হোসেন আরো জানান, নাসির তিনমাস কারাভোগ শেষে জামিনে বের হয়ে কৌশলে দুবাই চলে যায়। সম্প্রতি সে দুবাই থেকে এসে সাটুরিয়া থানা এলাকায় নাম পরিবর্তন করে স্ত্রীকে সাথে নিয়ে কাঠমিস্ত্রির কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করতেন।

সবখবর/ নিউজ ডেস্ক

নিউজটি শেয়ার করুন
Scroll to Top