১৯৭০ সালের ঘূর্ণিঝড়ে প্রায় ৩ লাখ মানুষ ও কয়েক লাখ প্রাণী মারা যায়। এরপর ঘূর্ণিঝড় ও বন্যার মতাে প্রাকৃতিক দুর্যোগ থেকে জানমাল রক্ষায় স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নির্দেশে দেশের উপকূলীয় এলাকায় মাটির কিল্লা নির্মাণ করা হয়।
পরবর্তীসময়ে জনগণের কাছে এগুলাে ‘মুজিব কিল্লা’ নামে পরিচিতি পায়। দীর্ঘদিন রক্ষণাবেক্ষণের অভাবসহ নানাবিধ কারণে বেদখল হয়ে যায় এসব কিল্লা। ২০১৮ সালে বর্তমান সরকার সেগুলাে সংস্কার ও সংরক্ষণের উদ্যোগ নেয়।
বিদ্যমান ১৭২টি মুজিব বিশ্বা সংস্কার ও উন্নয়নের পাশাপাশি নতুন করে নির্মাণ করা হবে ৩৭৮টি কিল্লা। ফলে মােট মুজিব কিল্লার সংখ্যা দাঁড়াবে ৫৫০টি। দেশের ঘূর্ণিঝড়প্রবণ ১৬টি জেলার ৬৪টি উপজেলা এবং বন্যা ও নদী ভাঙনপ্রবণ ২২টি জেলার ৮৪টি উপজেলায় এগুলাে নির্মাণ ও সংস্কার করা হবে।
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তর ‘মুজিব কিল্লা নির্মাণ, সংস্কার ও উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় এ উদ্যোগ নেয়। মুজিব কিল্লা মূলত, বিশালাকায় একেকটি মাটির ঢিবি। সমতল , ভূমি থেকে অন্তত ১১ ফুট উঁচু হয় একেকটি কিল্লা। এর ভিত্তি গড়া হয় মাটি ও বালু ফেলে। কিল্লার চারপাশ সিমেন্টের ব্লক দিয়ে বাঁধানাে হয়। একতলা বিশিষ্ট ভবনে রয়েছে আশ্রয় নেওয়া মানুষ ও গবাদিপশুর জন্য থাকার পৃথক ব্যবস্থা।
স্বাভাবিক সময়ে শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনার পাশাপাশি খেলার মাঠ ও হাট-বাজার, গ্রাম ও ইউনিয়ন কমিউনিটির মাধ্যমে বিভিন্ন সামাজিক অনুষ্ঠান এবং সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের বৈঠকখানা হিসেবে ব্যবহার করা হবে এ কিল্লা। প্রশিক্ষণ কার্যক্রম ও দুর্যোগের সময় অস্থায়ী সেবাকেন্দ্র হিসেবেও এগুলাে ব্যবহার করা হবে।
১৮৬টি মুজিব কিল্লা ‘এ’ ক্যাটাগরির। এর মধ্যে বিদ্যমান ৫৫টি কিল্লা পুনর্র্নিমাণ ও সংস্কার হবে। নতুন করে নির্মাণ করা হবে ১৩১টি। ‘বি’ ক্যাটাগরির মুজিব কিল্লা হবে ১৭১টি। এর মধ্যে বিদ্যমান ৬৩টি পুন:নির্মান ও সংস্কার করা হবে। নতুন করে নির্মাণ হবে ১০৮টি ‘সি’ ক্যাটাগরিতে রয়েছে ১৯৩টি মুজিব কিল্লা। এর মধ্যে ৫৪টি বিদ্যমান মুজিব কিল্লা পুন:নির্মান ও সংস্কার হবে, ১৩৯টি নির্মাণ হবে নতুন করে।
সবখবর/ নিউজ ডেস্ক