মানিকগঞ্জ জেলা বিএনপির বর্তমান আহ্বায়ক আফরোজা খান রিতা একাধারে একজন রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব, সংগঠক ও সামাজিক সচেতনতা কার্যক্রমে সক্রিয় নারী। বিএনপির দীর্ঘদিনের নেত্রী হিসেবে তিনি জেলার রাজনীতিতে এক সুপরিচিত মুখ। দায়িত্বশীল নেতৃত্ব, সাংগঠনিক দক্ষতা ও আদর্শিক অবস্থান তাকে দলের সর্বোচ্চ পর্যায়েও একটি গ্রহণযোগ্য নেতৃত্বে পরিণত করেছে।
দলীয় সিদ্ধান্ত অনুযায়ী সম্প্রতি আফরোজা খান রিতাকে মানিকগঞ্জ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক হিসেবে পুনর্নিয়োগ দেওয়া হয়। তার এই পুনঃনিযুক্তি শুধু একটি সাংগঠনিক পদ নয়, বরং আন্দোলন-সংগ্রামের সময়ে পরীক্ষিত নেতার প্রতীক হয়ে উঠেছে।
আফরোজা খান রিতা রাজনীতির শুরু থেকেই বিএনপির সঙ্গে জড়িত। নারী নেতৃত্বকে সামনের কাতারে তুলে ধরার ক্ষেত্রে তিনি একজন পথপ্রদর্শক। দলে তার গ্রহণযোগ্যতা ও জনপ্রিয়তা তাকে ধাপে ধাপে নেতৃত্বের উচ্চতায় নিয়ে এসেছে।
২০১৩ সালে প্রথমবারের মতো জেলা বিএনপির নেতৃত্বে আসেন তিনি। পরে ২০২১ সালে দ্বিতীয়বারের মতো সভাপতি নির্বাচিত হন। তার কার্যকালীন সময়েই বিএনপি মানিকগঞ্জে সংগঠিতভাবে একাধিক রাজনৈতিক কর্মসূচি সফলভাবে পালন করেছে।
আন্দোলন-সংগ্রামের সময় রাজপথে সাহসী অবস্থানের জন্য আফরোজা খান রিতা বারবার দলীয় নেতাকর্মীদের মধ্যে আস্থার প্রতীক হয়ে উঠেছেন। দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ঘনিষ্ঠ রাজনৈতিক সহযাত্রী হিসেবে তার প্রতি কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের আস্থা সুদৃঢ়।
স্থানীয়ভাবে নারী অধিকার, সামাজিক উন্নয়ন ও শিক্ষা-সচেতনতা বিষয়েও আফরোজা খান রিতা কাজ করেছেন। জেলার বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পরিচালনা পর্ষদে তিনি সক্রিয়ভাবে যুক্ত ছিলেন এবং নারীদের রাজনৈতিক ক্ষমতায়নের জন্য বিভিন্ন প্ল্যাটফর্মে বক্তৃতা দিয়েছেন।
দলীয় সভা-সমাবেশে আফরোজা খান রিতা বারবার বলেছেন, “মানুষের ভোটাধিকার, গণতন্ত্র ও আইনের শাসন ফিরিয়ে আনতে বিএনপি রাজপথে লড়াই চালিয়ে যাবে। আমরা জনগণের পক্ষে আছি এবং থাকব।”
তার নেতৃত্বে বিএনপির স্থানীয় নেতাকর্মীরা যেমন অনুপ্রাণিত হচ্ছেন, তেমনি সাধারণ মানুষও আবার বিএনপির দিকে ফিরছেন বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।
আফরোজা খান রিতা শুধু একজন রাজনৈতিক নেতা নন, বরং একজন আদর্শিক সংগঠক, যিনি সংকটকালীন সময়েও দলের পাশে থেকেছেন। তার নেতৃত্বে মানিকগঞ্জ জেলা বিএনপি নতুনভাবে সংগঠিত ও শক্তিশালী হয়ে উঠছে—এমনটাই প্রত্যাশা করছেন স্থানীয় ও কেন্দ্রীয় বিএনপি নেতৃবৃন্দ।